Infosys Lays Off: কোম্পানিতে কর্মীরা যোগদান করেছে মাত্র কয়েক মাস এবং এর মধ্যেই ইনফোসিস নিয়ে নিল বড় সিদ্ধান্ত। মাত্র কয়েক মাস পরেই প্রায় ৭০০ নবাগত কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূলে আসল কারণ কি? এই খবরটি যাতে প্রকাশে না আসে তার জন্য বরখাস্ত ফ্রেসার্সদের কাছ থেকে গোপনীয়তা চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য কোম্পানিটি চাকরিচ্যুতি প্রক্রিয়া চলাকালীন ‘বাউন্সার এবং নিরাপত্তা কর্মী’ মোতায়েন করেছে।
দেশের অন্যতম বড় আইটি জায়ান্ট হলো ইনফোসিস (Infosys Lays Off)। আইটি কর্মচারীদের ইউনিয়ন ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলজি এমপ্লয়িজ সিনেট (এনআইটিইএস) দাবি করেছে যে, তার মইসুরু ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ৭০০ জন ফ্রেসার্সকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কোম্পানিতে যোগদান করেছিল এই নবাগতরা মাত্র কয়েক মাস এবং তার মধ্যেই ঘটল এই অঘটন। তাদের আরও দাবি, কেন ছাঁটাই করা হল? কেন এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা জানবেন এই প্রতিবেদনে।
নাইটস সভাপতি হরপ্রীত সিং সালুজা মন্তব্য করেছেন যে একটি ক্যাম্পাস থেকে ৭০০ জন ফ্রেসারসকে এভাবে ছাঁটাই (Infosys Lays Off) করা সত্যি একটি আশ্চর্যজনক এবং অনৈতিক পদক্ষেপে। ওই ৭০০ জন ফ্রেসার কোম্পানিতে যোগদান করেছিল মাত্র কয়েক মাস আগে কিন্তু ইনফোসিস বলপূর্বক ছাঁটাই শুরু করেছে। এমনকি সবথেকে ভয়ানক বিষয় হলো, কর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য কোম্পানিটি চাকরিচ্যুতি প্রক্রিয়া চলাকালীন ‘বাউন্সার এবং নিরাপত্তা কর্মী’ মোতায়েন করেছে। এছাড়াও কর্মীদের কাছে যাতে মোবাইল ফোন না থাকে এবং ঘটনাটি নথিভুক্ত করার যাতে কোনরকম সুযোগ না পায় সেই ব্যবস্থা করেছে কোম্পানি। এই ধরনের আচরণ এত বড় আইটি কোম্পানির থেকে সত্যিই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হবে শিক্ষক, আবেদন করুন শীঘ্রই
ইউনিয়ন রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে ছাঁটাইয়ের (Infosys Lays Off)? আকস্মিক প্রকৃতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের উপর এর প্রভাব অনেকটাই পড়বে। কোম্পানি মন্তব্য করেছে যে, ছাঁটাইকৃত নতুনরা অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একাধিক অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছে। ইনফোসিসের আইটি মেজর একটি বিবৃতির মাধ্যমে বলে যে, যেহেতু ফ্রেসারসরা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে সেই জন্য তারা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে না, যেমনটি তাদের চুক্তিতেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান।
কোম্পানি এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার মূলে আসল কারণ হলো যাতে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় মান পূরণকারীদেরই বহাল রাখা হয়। তারা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করছে, ইনফোসিসের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ইউনিয়ন এই বিষয়ে দাবি করেছে যে, এবার থেকে কর্পোরেট সেক্টরে কোনরকম শোষণ করা চলবে না কর্মচারীদের ওপর। সকলে সরকারকে ভারতীয় আইটি কর্মীদের অধিকার এবং মর্যাদা বজায় রাখার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।