Exports of India: গত চার বছর ধরেই ভারতের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তবে এবার রেকর্ড গড়ল ভারত। রপ্তানিতে ইতিহাস তৈরীর পথে এবার ভারত। ২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষে রেকর্ড তৈরি করতে চলেছে ভারত। জানা গিয়েছে, এর আগে ভারত নাকি কখনো এই রেকর্ড স্পর্শ করেনি। সম্প্রতি বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের তরফ থেকে এই তথ্যটি শেয়ার করা হয়েছে।
গোয়েল আরো জানান, গত চার বছর ধরে ভারতের রপ্তানি (Exports of India) নাকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরেও এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র রপ্তানি নয় উচ্চতর ফসল উৎপাদনেও ভারতের প্রভূত উন্নতিসাধন করছে। তবে কিছুদিন আগেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ভারতের রপ্তানি নাকি হ্রাস পাচ্ছে। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এরকম উদ্বেগের কোন কারণই নেই। তিনি বলেছেন, দেশের রপ্তানি যথেষ্ট ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে।
এছাড়াও তিনি জানান, ভারত কৃষির দিক থেকেও যথেষ্ট পরিমাণে উন্নতিসাধন করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালে পেঁয়াজ, টমেটো এবং আলুর মতো প্রয়োজনীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। পেঁয়াজের উৎপাদন ১৯% পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ফল, রোপিত ফসল এবং মশলাও ও অনেক বেশি উৎপাদন করা হবে। আম, আঙ্গুর এবং কলার ভালো ফলনের কারণে মোট ফলের উৎপাদন ১১৩২.২৬ লক্ষ টন হতে পারে। রসুন এবং হলুদের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: কেটে গেছে প্রায় ৬ দশক, চালু হতে চলেছে নতুন আয়কর আইন
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় রপ্তানিতে (Exports of India) এবার রেকর্ড গড়ল। ভারত এই প্রথমবারের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের রপ্তানি ৮০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ভারতের ফসলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়লেও কৃষিকার্যের জন্য ব্যবহৃত এলাকা অনেকাংশই কমেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কৃষি জমির পরিমাণ গত বছরের ২৯.০৯ মিলিয়ন হেক্টর থেকে কমে এই বছর ২৮.৮৪ মিলিয়ন হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ভারতে উদ্যান উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ২.০৭% বৃদ্ধি পাবে।
এবার রপ্তানির (Exports of India) পাশাপাশি ভারত আরো বেশি পণ্য আমদানিও করছে। কিছু প্রধান আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম পণ্য, রান্নার কয়লা, ডাল এবং ভোজ্য তেল। গোয়েল জানিয়েছেন, ভারতের ফসল উৎপাদনের ইউনিট যত বেশি হবে আমদানির চাহিদাও তত বেশি থাকবে। ফলে ভারতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি বহির্জগতে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও বাড়বে অর্থাৎ আমদানি বৃদ্ধিকেও একটি ভালো লক্ষণ বলেই দেখা হচ্ছে।