নিজস্ব প্রতিবেদন : আজকের স্বাধীন ভারতবর্ষে আমরা স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করি। আমাদের এই স্বাধীনতা একদিনের ঘটনা না। বহু বছর ধরে দেশের বীরদের সংগ্রামের ফলেই আজ ২০১৯ সালে ঘুম থেকে উঠে আমরা চোখ মেলি স্বাধীন ভারতবর্ষে। এই বীরদের মধ্যে যাঁর নামটি যুগ যুগ ধরে প্রত্যেক ভারতীয়র হৃদয়ে গেঁথে থাকবে তিনি হলেন বাংলার ছেলে সুভাষ চন্দ্র বসু এবং তাঁর মুক্তি যুদ্ধ বাহিনী আজাদ হিন্দ বাহিনী।
ভারতের স্বাধীনতায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য এবং ভারতের এই গৌরব যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য দেশের সংস্কৃতি এবং পর্যটন মন্ত্রী প্রলহাদ সিং জানিয়েছেন, সরকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও তাঁর বাহিনী সম্পর্কে সমস্ত রেকর্ড ভারতের জাতীয় সংরক্ষণশালাতে স্থাপন করছে, যেটি হলো ভারত সরকারের বিশেষ বিশেষ ফাইল ও রেকর্ডগুলির সংগ্রাহক। এই কথা লিখিত ভাবে ঘোষণা করা হয়। এর একটাই কারণ যাতে সাধারন মানুষ সেই সব বিষয় জানতে পারেন ও তা দেখতে পারেন।
এর আগেও ১৯৯৭ সালে ভারতের জাতীয় সংগ্রহশালা থেকে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ৯৯০ টি ফাইল সংগ্রহ করা হয়। আজ দেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল যে ৩০৪ টি ফাইলের কথা ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে ৫৮ টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, বিদেশ মন্ত্রকের ২০০ টি এবং মন্ত্রিপরিষদের সচিবালয়ের ৯ টি ফাইলের কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে স্থায়ী ভাবে ধরে রাখার জন্য ৩০৪ টি রেকর্ড এবং ফাইল জাতীয় সংগ্রহশালা গুলিতে রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০৩টি ইতিমধ্যেই নেতাজী ওয়েব পোর্টাল www.netajipapers.gov.in -এ আপলোড করা হয়েছে।
এছাড়াও জনগণের কাছে খোসলা কমিশন এবং মুখার্জী তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ফাইলগুলি ইতিমধ্যেই উপলুদ্ধ আছে। ২০১২ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোসলা কমিশন ও মুখার্জী তদন্ত কমিশনের ১০৩০ টি ফাইল প্রকাশ করেন যার মধ্যে ২১১ টি মুখার্জী কমিশন ও ৭৫৯ টি ফাইল ছিল খোসলা কমিশনের।
public records act (১৯৯৭)-এর ফলে এই সমস্ত ফাইলগুলি ইতিমধ্যেই জনগণের কাছে উপলব্ধ করে তোলা হয়েছে। এর একটাই কারন যে আমাদের এই বীর মুক্তিযোদ্ধার জীবন এবং সংগ্রামের কথা সাধারন মানুষ যাতে জানতে পারে ও নিজের দেশ সম্পর্কে এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের গর্ব এবং শ্রদ্ধা উভয়েরই বৃদ্ধি ঘটে।