নিজস্ব প্রতিবেদন : পেট্রোল পাম্প আমাদের রক্ষাকর্তা। যখন আপনার গাড়ি যখন ‘নট’ নড়ন চড়ন, তখন নিকটবর্তী জ্বালানি স্টেশনে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। ইদানীং পাম্পগুলি ফ্রি এয়ার সার্ভিস চালু করেছে। অর্থাৎ নিখরচায় চাকায় হাওয়া ভরে দেবে তাঁরা। দারুণ, না? কিন্তু এখনও অনেকেই এই ফ্রি এয়ার সার্ভিসের বিষয়ে অবহিত নন। এমনকি প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে অভিযোগ দায়ের করার বাক্স থাকাটাও জরুরি। না থাকলে আপনি https://pgportal.gov.in – এই ঠিকানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। সমস্ত পেট্রোল পাম্পই গ্রাহককে বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ। গাড়ির মালিকের আধিকার আছে এই পরিষেবাগুলি বুঝে নেওয়ার।
এমনকি এই সকল সুবিধাগুলি থেকে কোনও পেট্রোল পাম্প আপনাকে বঞ্চিত করলে সেই পাম্পের লাইসেন্ত পর্যন্ত বাতিল হতে পারে। এই যেমন-
- বাইক বা গাড়ির চাকায় হাওয়া করে দেওয়া। যার জন্য কোনো কোনো মূল্য চাইতে পারবে না।
- বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের সুবিধা থাকা বাধ্যতামূলক।
- ফার্স্ট-এড। অর্থাৎ প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা আবশ্যিক।
- রাস্তায় কোনও সমস্যায় পড়লে, আর ঠিক সেই সময়ই আপনার মোবাইল ফোন বিকল হয়ে পড়ল! আপনি নিকটবর্তী পেট্রোল পাম্পে গিয়ে নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য ফোন করতে পারবেন। যার জন্য পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ আপনার থেকে কোনও চার্জ নিতে পারবে না।
- তেলের কোয়ালিটি ও সঠিক পরিমাপ পরীক্ষা করে দেখার অধিকার আপনার রয়েছে। আর সেটা আপনাকে দেখাতে বাধ্য থাকবে পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ।
- পেট্রোল পাম্প কখন খোলে এবং বন্ধ হয় অথবা কোন দিন পেট্রোল ও ডিজেল সরবরাহ বন্ধ থাকবে তা লিখে রাখাটাও বাধ্যতামূলক।
- পেট্রোল বা ডিজেলের বিল আপনার হাতে দেওয়াটাও পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।
- প্রতিটি পাম্পে অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক।
এইসকল পরিষেবা না দিলে শাস্তি হিসাবে প্রথমবার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ১৫ দিনের জন্য বিক্রয় ও সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হতে পারে। দ্বিতীয়বার লঙ্ঘনের জন্য ৩০ দিনের জন্য বিক্রয় ও সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হতে পারে। তৃতীয়বার নিয়ম লঙ্ঘন করা হলে ডিলারশিপটি বাতিলও হতে পারে।