নিজস্ব প্রতিবেদন : ১ লা জুলাই ২০১৭, মধ্যরাতে ভারতবর্ষে চালু হয় জিএসটি। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানান জিনিসের নতুন আঙ্গিকে শুল্ক বসে, বদলে আগের ভ্যাট ব্যবস্থা। কিন্তু বিগত দিনে বেশ কিছু সময় ধরে লাগাতার ভাটা পড়েছে সরকারের জিএসটি রেভিনিউতে। যদিও নভেম্বর মাস একটু হলেও আশার আলো দেখায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, পূরণ হয়নি রেভিনিউ টার্গেট। তাই এবার বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জিএসটি প্যানেল রেভিনিউয়ের কালেকশন বৃদ্ধির জন্য বিকল্প পথ অবলম্বনের কথা ইতিমধ্যেই ভাবতে শুরু করেছে সরকার। জানা যাচ্ছে, জিএসটি প্যানেলের ৫ শতাংশ স্ল্যাবে ১ শতাংশ বৃদ্ধি করতে পারে সরকার। সুতরাং মোট ৬ শতাংশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে সরকার। ধারণা করা হচ্ছে এই বৃদ্ধির জেরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ মাস পিছু প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই উদ্দেশ্যে জিএসটি প্যানেল চলতি মাসে রাজ্য ও জিএসটি আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বসতে পারে এমনও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
এর আগে জানা যায় জিএসটি প্যানেল অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে নিত্যদিনে ব্যবহৃত অপরিহার্য একাধিক দ্রব্যে জিএসটি শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে জিএসটি আদায়ের শুল্ক কিভাবে আসে তা জানা প্রয়োজন। জিএসটি আদায়ের ৫ শতাংশ গ্রহণ করা হয় ৫ শতাংশ স্ল্যাব থেকে, রাজস্বের ৬০ শতাংশ আসে ১৮ শতাংশের স্ল্যাব থেকে, ১৩ শতাংশ রাজস্ব আসে ১২ শতাংশের স্ল্যাব থেকে আর অবশিষ্ট ২২ শতাংশ আসে ২৮ শতাংশ স্ল্যাব থেকে।
সূত্র মারফৎ এও জানা যাচ্ছে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে অটো সেক্টরকে জিএসটির এই নতুন কাঠামোর আওতায় আনা হবে না। কিন্তু অন্যদিকে সিগারেট বা ড্রিঙ্কসের ওপর কম্পেন্সেশন কেস বৃদ্ধি করা হতে পারে।
আরও একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জিএসটির চারটি স্ল্যাব ভেঙে তিনটি স্ল্যাব করার চিন্তায় রয়েছে। ৫%, ১২%, ১৮% ও ২৮% কে ভেঙ্গে ৮%, ১৫% ও ২৮% ও হতে পারে। যার ফলে ১৮% জিএসটির স্ল্যাবে থাকা সামগ্রীর দাম কম হতে পারে, উপরন্তু বাড়তে পারে ৫% ও ১২% জিএসটির স্ল্যাবে থাকা সামগ্রীগুলির দাম।
মনে করা হচ্ছে, সিগারেট, ড্রিংসের পাশাপাশি দাম বাড়তে পারে মোবাইল ফোন, পিৎজা, ট্রেনের বাতানুকল টিকিটের দাম, বিমানের টিকিট ইত্যাদির।