‘জীবন যাবে যাক, টুকলি সরবরাহ চাই-ই চাই’, মাথায় হাত পথচলতিদের

হিমাদ্রি মণ্ডল : জীবনের সবথেকে বড় ও প্রথম পরীক্ষার মাধ্যমিক। এই পরীক্ষায় অসফল হওয়া মানেই সমাজে মুখ দেখানো বড় দায়। তাও আবার এই পরীক্ষা যদি হয় মুক্ত বিদ্যালয়ের! পাশ নিয়ে তাও আবার চিন্তা কিসের? আছেন তো তারা টুকলি সরবরাহ করতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদের ক্যান্টিলেবারের চেপে একেবারে দোতলায় বসে থাকা পরীক্ষাদের চলছে টুকলি সরবরাহ। আর এমন কান্ড দেখে রীতিমতো মাথায় হাত পথচলতিদের।

চলছে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষাতেই চলছে টুকলি সরবরাহ। এই ছবি বীরভূমের সিউড়ীর চন্দ্রগতি হাইস্কুলের। এই স্কুলেই সিট পড়েছে পরীক্ষার্থীদের। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এই পরীক্ষা। প্রথমদিনে ছিল বাংলা, আর আজ ছিল ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা। কাল হোক বা আজ চিত্রটা একই নকল সরবরাহ করার।

আজ দেখা গেল নকল সরবরাহ করতে পরীক্ষার্থীদের সাহায্যকারীকে স্কুলের ক্যান্টিলেবারের উপরে উঠে জানলা দিয়ে হাত বাড়িয়ে নকল সরবরাহ করতে। তবে সংবাদমাধ্যম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরে যারা নকল সরবরাহ করছিল তারা সবাই চম্পট দেয়।

তবে এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নকল সরবরাহ করাতে যে কোন মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে, তা বুঝেও বুঝছেন না নকল সরবরাহকারীরা। এই মুক্ত বিদ্যালয়ের ১৯ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে, আগামী দিনগুলিতে কি হয়, কিভাবে নকল সরবরাহ করা হয় সেটাই দেখার!