নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্ব খ্যাত ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ভারতীয়দের কাছে শুধু একজন খেলোয়াড় নন, বরং তার থেকেও অনেকটা বেশী। শচীন নামের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে একটা আবেগ। ১৯৮৯ সালের ১৫ই নভেম্বর প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইতে বাইশ গজে নামেন তিনি। তারপর কেটে গেছে তিন দশক। একবারের জন্যও পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই কিংবদন্তিকে। এই ৩০ বছরের বাইশ গজের জীবনে অসংখ্য রেকর্ড করেছেন তিনি। কিন্তু এই সকল রেকর্ডের মধ্যে এমনও ৩০ টি রেকর্ড রয়েছে যা আজও কেউ ভাঙতে পারেন নি। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই ৩০টি রেকর্ড।
১. একদিনের ক্রিকেটে ১০,০০০ এর বেশি রান (১৮,৪২৬), ১০০-র বেশি উইকেট (১৫৪ টি) আর ১০০-র বেশি ক্যাচ (১৪০ টি) নেওয়ার রেকর্ড নিজের নামে এখনও করেছেন এই ভারতীয় কিংবদন্তি।
২. আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, টেস্ট, ODI ও টি-টোয়েন্টি, এই তিনটি মিলিয়ে সর্বাধিক রানের (৩৪,৩৫৭) রেকর্ড গড়েছেন রয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। যা এখনও পর্যন্ত ভাঙ্গা যায়নি সেই রেকর্ড। শচীনের পরে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। তিনি শচীনের থেকে ৬,৩৪১ রানে পিছিয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার পরেই আছেন বর্তমান ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
৩. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ১০০ টি সেঞ্চুরি করেছেন যা এককথায় অনবদ্য। নামটা শচীন তেন্ডুলকর বলেই হয়ত সম্ভব। তার থেকে ৩০ টি সেঞ্চুরিতে পিছিয়ে বিরাট কোহলি আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
৪. এক বছরে টেস্টে হাজারের বেশি রানের বিচারে তিনিই প্রথম। মোট ৬ বার এই কৃতিত্ব তিনি অধিকার করেছেন (১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০২, ২০০৮, ২০১০)।
৫. তিনি বিশ্বের ৯ টি দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন ও এই নয়টি দলের বিপক্ষেই তার গড় কম করে ৪০।
৬. টেস্টে এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রতিপক্ষের হোম গ্রাউন্ড সবচেয়ে বেশি ব্যাটিংয়ের গড় শচীন টেন্ডুলকারের ( ৫৪.৭৪)।
৭. একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড তার (১৮,৪২৬)। তার পরে আছেন শ্রীলঙ্কার কুমারা সঙ্গকারা। তৃতীয় তালিকায় রিকি পন্টিং।
৮. একদিনের ইতিহাসে তিনি ৪৯ টি সেঞ্চুরি করে সবথেকে বেশী সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের নামে করিয়েছেন।
৯. ওপেনার হিসেবে একদিনের ইতিহাসে তিনি ১৫,৩১০ রান করেছেন যা রেকর্ড।
১০. ১৯৯৮ সালে এক বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন তিনি। তার রান ছিল ১,৮৯৪।
১১. ১৯৯৮ সালে একদিনের ক্রিকেটে তিনি ৯ টা সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফলে এক বছরে একদিনের ক্রিকেটে সবথেকে বেশী রানের রেকর্ডও তার নামেই।
১২. দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গোয়ালিওরে, তিনি ২০১০ সালে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম একদিনের ক্রিকেটে ডবল সেঞ্চুরি করেন।
১৩. একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি ৬২ বার ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত সবথেকে বেশি।
১৪. একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি ১৪ বার ‘ম্যান অফ দ্য সিরিজ’ও হয়েছেন। যা রেকর্ড।
১৫. বিশ্বকাপে তাঁর ঝুলিতেই সবচেয়ে বেশি রান (২,২৭৮) রয়েছে।
১৬. ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে তিনি ৬৭৩ রান তুলে রেকর্ড তৈরি করেছিলেন। এক বিশ্বকাপে এত রানের রেকর্ড কারোর নেই।
১৭. বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তিনি ৬ টি সেঞ্চুরি করেন। যদিও একই রেকর্ড রয়েছে রোহিত শর্মার। তবে তা এখনও ভাঙ্গা সম্ভব হয়নি।
১৮. ভারতের মধ্যে তিনি সবথেকে কম বয়সী (১৭ বছর ৩ মাস ১৭ দিন) ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন।
১৯. টেস্ট ইতিহাসে ৫১টি সেঞ্চুরি করে টেস্টে সবথেকে বেশী সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের নামে করিয়ে নেন।
২০. একদিনের ক্রিকেটে তিনি ৯৬টি হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড তৈরি করেন।
২১. তিনি ক্রিকেটের ইতিহাসে ৪৬৩ টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন যা রেকর্ড।
২৩. তিনি বিশ্বের ৯০টি আলাদা আলাদা স্টেডিয়াম বা মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।
২৪. বিশ্বকাপে ২১ টি হাফ সেঞ্চুরি করে টেন্ডুলকার বিশ্বকাপে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডের অধিকারী।
২৫. সেঞ্চুরির ক্ষেত্রে এমনিতেই তিনি অনেক রেকর্ড গড়েছেন। কিন্তু এছাড়াও ২৭ বার তিনি নব্বইয়ের ঘরে আউট হন।
২৬. টেস্টে সবচেয়ে বেশি (২১ বার) দেড় শতাধিক রানের ইনিংস রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ৬ বার রয়েছে ডবল সেঞ্চুরি।
২৭. তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৫টি সেঞ্চুরি রয়েছে ২০ বছরেরও কম বয়সে।
২৮. বিপক্ষ দলের হোম গ্রাউন্ডে তিনি টেস্টে সর্বাধিক রান (৮,১৪৫ রান) করেছেন।
২৯. ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র তিনি ২০০টির বেশী টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।
৩০. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি ৩০,০০০ এর বেশি রান করেছেন।