নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে লকডাউন। আর এই লকডাউন চলাকালীন রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি জ্বালানি কতটা স্বাভাবিক থাকবে, গ্রাহকদের কোন রকম ভোগান্তির শিকার হতে হবে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (IOC)-র চেয়ারম্যান সঞ্জীব সিনহা। তিনি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এই ঘোষণা তুলে ধরেছেন।
তিনি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “ভারতে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে। তাই ভয় পেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বুক করে অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই। দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যে লকডাউন চলছে তা মাত্র তিন সপ্তাহের জন্য। আর এর চাহিদা মতো রান্নার গ্যাস মজুদ রয়েছে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “ভারতে জ্বালানির কোন কমতি নেই। তাই ভুয়ো খবরে ভয় পেয়ে আগেভাগে এলপিজি বুক করার দরকার নেই। পুরো এপ্রিল মাস ও তারপরে দেশজুড়ে কত পরিমাণ গ্যাসের চাহিদা থাকতে পারে তার আন্দাজ আগেই করে নেওয়া হয়েছে। তেল শোধনাগারগুলি চাহিদামত কাজ চালাচ্ছে।”
দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে যানবাহন চলাচল যেহেতু বন্ধ তাই পেট্রোল ও ডিজেলের চাহিদা কমে গিয়েছে। অন্যদিকে একই ভাবে কমেছে বিমানের জ্বালানির চাহিদাও। তবে এই সকল জ্বালানির চাহিদা কমলেও ২০০% বৃদ্ধি পেয়েছে রান্নার গ্যাসের চাহিদা। এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে অযথা ভয় বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রান্নার গ্যাস না পাওয়ার ভয়ে অনেকেই আগাম গ্যাস সিলিন্ডার বুক করছেন।
Sanjiv Singh, @ChairmanIOCL talks about ample stock of petroleum products. All IndianOil locations and touch points are functional. Kindly avoid panic buying. Watch the video for more. #StayHomeStaySafe #CoronaStopKaroNa #IndiaFightsCorona @dpradhanbjp @PetroleumMin pic.twitter.com/0w98XLHiYF
— Indian Oil Corp Ltd (@IndianOilcl) March 29, 2020
এ বিষয়ে সঞ্জীব সিনহা জানিয়েছেন, “এইভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে থাকলে পুরো ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে যাবে। বুকিং হওয়ার সাথে সাথে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি করার জন্য কারখানাকে জানাতে হয়। আর তারপর সেখান থেকেই গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের কাজ শুরু হয়। এরপর ডেলিভারি বয়রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করে থাকেন।”