হিমাদ্রি মণ্ডল : বিশ্বের পাশাপাশি ভারত, আর ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। প্রতিদিনই দেশের পাশাপাশি রাজ্য বাড়ছে সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এমত অবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই করোনা, যাকে দেখতে পাওয়া যায় না, অদৃশ্য দানবের সাথে লড়াই।
অদৃশ্য দানবের সাথে এই লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী মতোই সমান ভূমিকা পালন করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিনিয়তই তিনি রাজ্যের সরকারি আমলাদের সাথে আলোচনা, বৈঠক করে নতুন নতুন দিশা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই মত গত সোমবার নবান্নে একটি বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন রাজ্যের ২২ জেলায় কমকরে একটি করে করোনা হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে। আর তারপরেই উঠে পড়ে বসে জেলা প্রশাসনগুলি। ইতিমধ্যেই বীরভূমের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য চিহ্নিত করেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। বীরভূম জেলা প্রশাসনের টার্গেট রয়েছে জেলায় কমকরে ১৫০টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত করা। পরিদর্শনও চলছে, দুদিন আগেই বোলপুরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোম পরিদর্শন করেন বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পরিষদ পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আঁড়ি ও অন্যান্যরা। আর এবার পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিনহা।
শুক্রবার সকালে সিউড়ির একটি বেসরকারী হাসপাতাল এসে পরিদর্শন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিনহা। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ও অন্যান্য আধিকারিকেরা। পরিদর্শন শেষে প্রশাসনিক সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে তা হল, বীরভূমে দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড-১৯ হাসপাতলে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।
পরিদর্শন প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, “রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব রাজিব সিনহা এসেছেন আমরা জেলায় যে ৫-৬ টি কোভিড-১৯ হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি তা পরিদর্শন করতে। সিউড়িতে একটি নার্সিংহোমকে আমরা আগেই দেখে রেখেছিলাম সেটিকে তিনি পর্যবেক্ষন করলেন। আর আমরা সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে আগামী তিন-চার দিনে সমস্ত কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করার আশা রাখছি।”