ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় বাংলায় প্রথম সিউড়িতে চালু হলো ‘স্যাম্পেলিং কিয়স্ক’

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে চিকিৎসকদের রক্ষা করার জন্য চালু হলো ‘স্যাম্পলিং কিয়স্ক’। আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত এই কিয়স্ক বাংলার মধ্যে প্রথম চালু হলো বীরভূমের সিউড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় চিকিৎসকদের সুরক্ষিত রাখতে এই কোভিড স্যাম্পলিং কিয়স্ক। করোনা উপসর্গ থাকা রোগীর সংস্পর্শে না এসেই এই কিয়স্কের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। আর যাতে করে চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মীদের নমুনা সংগ্রহের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।

Advertisements

Advertisements

কোভিড স্যাম্পেল কিয়স্ক আসলে কি?

Advertisements

কোভিড স্যাম্পেল কিয়স্ক বিষয়টি আসলে কি তা বোঝাতে গিয়ে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক ডাক্তার অভিষেক রায় জানান, “এটি অনেকটা টেলিফোন বুথের মত। যিনি করোনা সংক্রামিত সন্দেহভাজন ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করবেন তিনি এর ভিতরে চলে যাবেন। ভিতরে থাকা চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ানের সাথে বাইরের ব্যক্তির কোনরকম সংস্পর্শ থাকবে না। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সম্পূর্ণটাই সুরক্ষিত। চিকিৎসক অথবা টেকনিশিয়ানের ভিতরে বসার জন্য চেয়ার থাকবে। ঠিক একইভাবে সম উচ্চতায় বাইরে রোগীর জন্য একটি চেয়ার থাকবে। তারপর চিকিৎসক অথবা টেকনিশিয়ান পিপিই কিট পড়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করবেন। তারপর বাইরে বেরিয়ে এসে চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান পিপিই নষ্ট করে দেবেন।”

কিভাবে সুরক্ষিত থাকছেন চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান?

এ বিষয়ে ডাক্তার অভিষেক রায় জানান, “নমুনা সংগ্রহের সময় রোগীর হাঁচি, কাশি ইত্যাদি হতেই পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই থেকে যায়। কিন্তু এই কোভিড স্যাম্পেল কিয়স্কের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হলে নমুনা সংগ্রহ করার সময় রোগীর হাঁচি অথবা কাশি হলেও চিকিৎসকের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। কারণ এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে রোগীর সংস্পর্শে মাঝে রয়েছে দেওয়াল। আর এই কিয়স্কের দরুন উপকৃত হবেন বহু চিকিৎসক।”

এছাড়াও এই কিয়স্কের মাধ্যমে বহু সংখ্যক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা যাবে বলেও জানান ওই চিকিৎসক। তিনি জানান, “এই কিয়স্কের মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি বহুসংখ্যক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করতে পারব। যাতে করে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও দ্রুত হবে। এই কিয়স্কের মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন খুব কম করে ৫০ টি নমুনা সংগ্রহ করতে পারব। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট।”

পশ্চিমবঙ্গে অন্যান্য রাজ্যের মতোই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা।আর এই সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আরও দুশ্চিন্তা হলো চিকিৎসকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। ইতিমধ্যেই আমরা বেশ কয়েক জায়গা থেকে খবর পেয়েছি বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন। আর এই বিষয়ে ডাক্তার অভিষেক রায় জানান, “এই ব্যবস্থা চিকিৎসকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। আমরা আর স্বাস্থ্যকর্মীদের হারাতে চাইনা। এতদিন ভয়ে ভয়ে চিকিৎসা করতে হতো। এখন কিছুটা হলেও সেই ভয় থেকে মুক্তি মিলবে।”

Advertisements