বাস চালানো সম্ভব নয়, স্পষ্ট বার্তা বাস মালিক সংগঠনের

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

চন্দন কর্মকার : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের দ্বিতীয় দফা শেষ হওয়ার দিন কয়েক আগে জানিয়েছিলেন, “সোমবার থেকে গ্রীন জোন ভুক্ত এলাকাগুলিতে সরকারি এবং বেসরকারি বাস সরকারি নির্দেশিকা মেনে পথে নামতে পারবে। আর নির্দেশিকা না মানা হলে পুনরায় অনুমোদন তুলে নেওয়া হবে।”

Advertisements

Advertisements

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা বলতে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “যাত্রী পরিবহনের সময় বাসগুলি অবশ্যই স্যানিটাইজ করতে হবে। বাসে সবথেকে বেশি ২০ জন যাত্রী চাপানো যাবে। একজন যাত্রী জানলার ধারে বসলে পরের সিটে অন্যজন যাত্রী জানলার উল্টো দিকে অর্থাৎ কোনাকুনিভাবে বসবেন।”

Advertisements

কিন্তু এই নির্দেশিকার পরেই বাস মালিকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয় ২০ জন যাত্রী নিয়ে কিভাবে বাস চালানো সম্ভব! কারণ এতে বাসের খরচ উঠবে না, তারপর রয়েছে চালক ও খালাসিদের বেতন। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে তাদের একটি বৈঠক হয়। তবে বৈঠকের পর তারা পুনরায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে রবিবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, “২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। লকডাউনে যেমন বাস বসেছিল, তেমনই বসে থাকবে।”

সাঁইথিয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক পতিত পাবন দে জানান, “বাস চালানোর পক্ষে আমাদের সহমত রয়েছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বসে থাকায় আমাদের রোজগার নেই। কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বাস চালানোর কথা বলেছেন সেইভাবে বাস চালালে আমরা বাস চালানোর খরচ তুলতে পারব না। যে কারণে আমরা প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে এসেছি এই ভাবে আমরা বাস চালাবো না। লোকসান করে বাস চালানো সম্ভব নয়।”

তবে বাস মালিক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “যদি ভোটের সময় যেমন বাস নিয়ে নেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে, বাসের বিভিন্ন খরচ দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা বাস চালাতে রাজি আছি।”

ঠিক একইভাবে মতামত পোষণ করেছেন বাসের চালকরাও। তাদের বক্তব্য, “এইভাবে বাস চালালে মালিকের কিছু থাকবে না। এছাড়াও আমরা যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বাস নিয়ে যাবো তখন রাস্তায় কোন প্যাসেঞ্জার চাপতে চাইলে আমরা যদি তাদের না চাপাই তাহলে আমাদের উপর পাল্টা চাপ এসে পড়বে। তাই আমরা বাস চালাচ্ছি না।”

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যেদিন বাস চালানো নিয়ে এই নির্দেশিকা ঘোষণা করেছিলেন তখনও পর্যন্ত বীরভূমে করোনাভাইরাস কোনরকম সংক্রমণ দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার হঠাৎ করে জেলায় তিন জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরে পুনরায় নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি বীরভূম আর গ্রীন জোন ভুক্ত থাকছে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে বীরভূম জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, “সরকারিভাবে কোনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি বীরভূম গ্রিন জোন ভুক্ত থাকছে না বদলে যাচ্ছে। ঘোষণা হলে জানতে পারবেন।”

Advertisements