শর্তসাপেক্ষে ১লা জুন থেকে রাজ্যে খুলছে মন্দির মসজিদ গির্জা

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। তবে এর মাঝেই শুক্রবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বড় ঘোষণায় জানিয়ে দিলেন ১লা জুন থেকে রাজ্যে খুলবে সমস্ত রকম মন্দির, মসজিদ, গির্জা সহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার ক্ষেত্রে মানতে হবে শর্ত।

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, করোনা হটস্পট রাজ্যগুলি থেকে অনিয়ম করে আনা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ট্রেনে গাদাগাদি করে এত লোক যদি আনা হয় তাহলে মন্দির, মসজিদ অথবা অন্যান্য ধর্মীয় স্থান খুলতে অসুবিধা কোথায়। বরং বর্তমান সংকট থেকে মুক্তি পেতে মানুষ একটু প্রার্থনা করার সুযোগ পাবে। তাই তিনি প্রথমে কাল থেকেই মন্দির মসজিদ গির্জা সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরক্ষনেই বলেন, না থাক কাল থেকে না খুলে ১লা জুন সকাল ১০টা থেকে খোলা যাবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, অনেকদিন ধরে এগুলি বন্ধ থাকায় কোথাও সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, বাদুড় ঢুকে আছে। পরিষ্কার করতে অন্তত ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে। তাই সোমবার ১লা জুন থেকে বরং খোলা যেতে পারে।

তবে মন্দির, মসজিদ, গির্জা খোলার অনুমতি দিলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শর্ত আরোপ করার বিষয়ে জানিয়েছেন, কোথাও একবারে ১০ জনের বেশি ঢুকতে পারবে না। ধর্মীয় কোন জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। মন্দির মসজিদে ভিড় করা যাবে না। সকলকে জোর দিতে হবে সে স্যানিটাইজেশনে। ধর্মীয় স্থানে ঢোকার আগে স্যানিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। ভিড় হলে বা নিয়ম না মানলে মন্দির, মসজিদ বা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কমিটিকে ধরা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে কর্ণাটকের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে ১লা জুন থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সহ সমস্ত রকম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অনুমতি দেওয়া হোক এমনটা জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে দেশের চতুর্থ দফার যে লকডাউন চলছে তা শেষ হবে আগামী ৩১শে মে। আর সে ক্ষেত্রে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তার আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে এমন বড় পদক্ষেপ নেওয়া হলো।