পরিযায়ী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও মাংস চাইছে, অনুব্রত মণ্ডল

Madhab Das

Updated on:

অমরনাথ দত্ত : গত শনিবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায় সাঁইথিয়াতে পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে বলেন, বহু ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডিমান্ড বেশি। আর সেক্ষেত্রে তাদের জামাই আদর করা সম্ভব নয়। আর এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে রবিবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কার্যত শতাব্দী রায়ের মন্তব্যকে সমর্থন করলেন। সর্মথনের মূলে তিনি যুক্তি পেশ করেছেন।

গত শনিবার শতাব্দী রায় বলেছিলেন, “হাজার হাজার লোকের প্রবলেম তো, সবাই যদি জামাই আদর চায় তাহলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। মাছ দিলে বলছে মাংস হয়নি, মাংস দিলে বলছে ডিম হয়নি। এখন সবাই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, এতদিন পরে ওখান থেকে ফিরছে, বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হচ্ছে। আপনার বাড়িতে যদি একজন আসে যে যত্নটা করতে পারবেন, হাজার লোক এলে তা করতে পারবেন না। সেজন্য এই ক্ষোভ-বিক্ষোভগুলি নিজস্ব তৈরি করা হয়েছে অথবা এখন তো বাঁচার লড়াই তাই বেশ কিছুটা মানিয়ে নিতে হবে। তারা বাড়ি যাওয়ার জন্য অস্থির হচ্ছে বলে এগুলি করছে।”

আর এপ্রসঙ্গেই রবিবার অনুব্রত মণ্ডল জানান, “পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য যতটুকু দরকার আমরা করবো। স্বাভাবিক খাবারের মান যদি খারাপ হয় তারা একশোবার বলবে। খাবারটা যাতে ভালো হয় আমরা যেমন দেখছি তেমন দেখব।”

পাশাপাশি নানান জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে খাবারের গুণগত মান নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, “এটা ঠিক নয়। ধরো আমরা একটা তরকারি কি একটা ডাল আর ডিমের ঝোল দিচ্ছি। সেখানে বলছে মুরগির মাংস দিতে হবে। কি মাছ দিচ্ছে, বলছে মাছ খাব না মাংস দিতে হবে। খাবারের কিন্তু পরিমাণ খারাপ নাই। একটা ডাল আছে, কোন কোন জায়গায় দুটো তরকারি আছে, ডাল আছে, ডিম আছে। সেটা অনেক জায়গায় বলেছে দুবেলায় ডিম দিচ্ছেন! সেটা আমরা চেষ্টা করছি একবেলা ডিম আর একবেলা মাছ দেওয়ার। পরিযায়ী শ্রমিকরা তো আমারই গ্রামের লোক, আমারই বাড়ির লোক। কেন পরিযায়ী শ্রমিক বলবো, আমার বীরভূম ডিস্ট্রিক্টের লোক তারা। তারা তো পরিযায়ী শ্রমিক নয়, আমার জেলার লোক বাইরে কাজ করতে গেছিল।”

আগামী দিনে এই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “১০০ দিনের কাজ আছে করবে। যাদের জব কার্ড নেই তাদের সঙ্গে সঙ্গে জব কার্ড দেওয়া হবে বিডিওদের বলা আছে।”

পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে সমাজের বহু বিশিষ্টজনেরাও মন্তব্য করেছেন, বর্তমানে আমাদের বাঁচার লড়াই। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে সকলকেই একটু আধটু মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।