নিজস্ব প্রতিবেদন : নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন অসম্ভব শব্দটি শুধুমাত্র বোকাদের অভিধানেই থাকে। প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, কোন কিছু করবার মতো সৎ মানসিকতা থাকলে অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করেই অনেকে গিনেস বুকে নাম তোলেন।
কোনো মানুষ যখন এমন কিছু করেন যা আগে কখনো কেউ করেনি, তখন সে নিজেই একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। আর নতুনের প্রতি আগ্রহ তো আমাদের বরাবরের। তাই যখনই কোন মানুষ কোন নতুন কিছু প্রচেষ্টা করেন তখনই তার নাম গিনেস বুকের পাতায় জ্বলজ্বল করে ভেসে ওঠে। ঠিক যেমন ২০ বছরের আবেলহামীদ তার নতুনত্ব প্রচেষ্ঠার জন্য গিনেস বুকে নাম ওঠালো।
মহম্মদ আবেলহামীদ মুকবেলের যখন ৬ বছর বয়স তখন থেকেই তিনি ব্যালেন্সের খেলা খেলেন। ২০ বছর বয়সে তিনি এমন এক কীর্তি ঘটালেন যা এর আগে কখনো কেউ ঘটাতে পারেনি। কী করেছেন তিনি জানেন? শুনলে আপনিও চমকে যাবেন। একটির উপর একটি করে একাধিক ডিম দাঁড় করিয়েছেন তিনি! অবাক হচ্ছেন তো ভাবছেন এও কি সম্ভব? একটি ডিম মেঝেতে রাখতে গেলেই যেখানে ভেঙে যায় সেখানে সমতলের মধ্যে একটি ডিমকে সোজাসুজি দাঁড় করানো কীভাবে সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, ইচ্ছাশক্তির জোরে অসম্ভবও সম্ভব করা যায়।
৬ বছর বয়স থেকে ব্যালান্সের অভ্যাস করছেন আবেলহামীদ। এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে তিনি যা করেছেন তা হলো প্রতিটি ডিমের ভরকেন্দ্রকে একটি সরলরেখায় এনেছেন। আর এটি সম্ভব হয়েছে তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ও অসম্ভব ধৈর্যের ফলেই।
আবেলহামীদ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা। গত এপ্রিল মাসে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তিনি। তারপর তার এই কীর্তিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করার পর তাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তরফ থেকে।
খিলজি টাইমস জানিয়েছেন, এই রেকর্ড করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত মানা আবশ্যিক ছিল যেমন মুরগির ডিমগুলি টাটকা হতে হবে, ডিমগুলি ভাঙা বা ফাটা হওয়া যাবে না এবং ডিমগুলিকে দাঁড় করিয়ে অন্ততপক্ষে ৫ সেকেন্ড রাখতে হবে। এই সকল শর্তগুলো পূরণ হয়েছে বলেই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আবেলহামীদ আবারও প্রমাণ করলেন আদতে অসম্ভব বলে কিছুই নেই।