‘তৃণমূল কোমায় চলে গেছে’, শ্যামাপদ মন্ডল

হিমাদ্রি মন্ডল : ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মদিবসে সোমবার বীরভূমের চিনপাইয়ে একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হলো বিজেপির তরফ থেকে। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীরভূম বিজেপির তরফ থেকে তাদের এক পুরাতন দলীয় কর্মী বাপি বাউরীকে সদলবলে নিজেদের দলে ফিরিয়ে আনা হয়। তাকে দলে ফিরিয়ে এনে বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল জানান, “ভুল বুঝতে পেরে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।” আর এই মঞ্চ থেকেই এদিন তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বীরভূমের তৃণমূল দলটা এখন কোমায় চলে গেছে।” পাশাপাশি তিনি তৃণমূলকে সার্কাস চালায় বলেও কটাক্ষ করেন।

মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “কোমায় যাওয়া বোঝেন তো? মানুষ যখন বাঁচার শেষ মুহূর্তে যায়, কথা বলতে পারেনা, শ্বাস-প্রশ্বাসটা কেবল চলে, খেতে পারেনা, কোন শক্তি থাকে না, তখন ডাক্তার বাবুরা কিছু টাকা-পয়সা আদায় করার জন্য কোমায় ভরে দেয়। একটা কাঁচের ঘর থাকে ভেন্টিলেশন, ওখানে ভরে দেয় আর বলে কোমায় আছে। কথাও বলেনা আর কিছুই না। শুধু জীবনটা যায়নি। আর এখন ঐরকম কোমায় চলে গেছে বীরভূমের তৃণমূল।”

আর এর পরেই তিনি প্রশান্ত কিশোরের প্রসঙ্গ তুলে নিয়ে এসে বলেন, “এই কোমায় চলে যাওয়া তৃণমূলকে বাঁচাবে নাকি প্রশান্ত কিশোর। আগে সাধু-সন্ন্যাসীরা দেখতাম, বামাক্ষ্যাপাকে দেখেছি, ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবকে দেখেছি, কুন্ডলীর জল দিয়ে দিত আর বেঁচে যেত। আর এখন নাকি প্রশান্ত কিশোর এসে মরা তৃণমূলকে বাঁচাবে! তা বাঁচাতে পারলে ভালো। আর এই প্রশান্ত কিশোরের টিম বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ রাখছে বিজেপির দোষ তুলে ধরার জন্য। বলবে তুমি লিখে দাও আর টাকা দেবে।”

এছাড়াও তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন আরও বলেন, “একটা রাজনৈতিক দল চালায় না, বীরভূম জেলায় তৃণমূল সার্কাস চালায়। সার্কাস চালাতে গেলে কোন খেলোয়াড় কখন লাগবে কখন বাদ দেবে, কোন হাতিটাকে রাখবে, কোন বাঘটাকে রাখবে এরকম যেমন কোন ঠিক থাকেনা তৃণমূল দলটাতেও ঠিক থাকেনা।”

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে লকডাউন পর্যায় সমাপ্ত হয়ে আনলক পর্যায় শুরু হতেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের কার্যকলাপে নেমে পড়েছে বিরোধীপক্ষকে পর্যদস্ত করতে। আনলক পর্যায়ের প্রথম থেকেই আমরা দেখেছি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কর্মীসভা করতে। ঠিক একইভাবে একের পর এক রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও।