করোনা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ঝুঁকি কাদের, জানালো WHO

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি করেছে করোনাঙ্কের। পুরো বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ১৯৭। এই সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যাতে জানা যাচ্ছে করোনায় সংক্রমিত হওয়া মানুষদের মধ্যে ১৮% ধূমপায়ী। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়া এবং করোনা ভাইরাসজনিত কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা সাধারণ মানুষদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

একটি-দুটি নয় ৩৪ টি সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। আর স্বাভাবিক ভাবেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য মানুষের মধ্যে আরও ভীতির সৃষ্টি করেছে। এর মাসখানেক আগেও একবার এরকম একটি তথ্য সামনে এসেছিল। চাইনিজ সেন্সাস অফ ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে বিবিসি একটি তথ্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন। যেখানে ৪৪ হাজার ‌করোনা সংক্রমিতের যাবতীয় তথ্যের বিশ্লেষণ রয়েছে।

এই তথ্যকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে করোনায় মৃতের নিরিখে সবথেকে এগিয়ে আছেন পুরুষরা। করোনায় মৃতদের মধ্যে ২.৮ শতাংশই পুরুষ, মহিলা ১.৭ শতাংশ, আর শিশু ০.২ শতাংশ। কিন্তু এর পিছনে কী কারণ? কেনই বা শিশু ও মহিলা তুলনায় পুরুষের মুত্যু হার এত বেশি?

এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়েই রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। একদল চিকিৎসক দাবি করেন বাইরে বেরোনোর ফলে, ঘনঘন ধূমপান করার ফলে মৃতের হারে এই পার্থক্য ঘটেছে। ধূমপায়ীদের মধ্যে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যাই অধিক। আর শিশুদের তো বাড়তি যত্ন নেওয়ার ফলে তাদের শরীরেও দ্রুত হারে অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে। কিন্তু নিয়মিত স্মোকার বা চেন স্মোকারদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। তারা করোনায় সংক্রমিত হলে তাদের শরীরে দ্রুত হারে অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে না। ধূমপান করার ফলে তাদের ফুসফুস এমনিতেই দুর্বল হয়। আর দুর্বল ফুসফুসেই দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়ায়। এর ফলে ধূমপায়ীদের মৃত্যুর সংখ্যাই সব থেকে বেশি।