নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ টালবাহানার পর বিভিন্ন মহলের দাবি পূরণ হয় চলতি মাসেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তভার পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তভার নিজেদের হাতে পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই দল। দিল্লি থেকে দলের সদস্যরা মুম্বই আসেন। গঠন করা হয় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। আর এই ইনভেস্টিগেশন টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন বরিষ্ঠ আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর। এছাড়াও রয়েছেন এসপি নুপুর প্রসাদ, ডিএসপি অনিল কুমার যাদব এবং ডিআইজি গগনদীপ গম্ভীর। তদন্তকারী দলে থাকা দুঁদে আইপিএস অফিসার একজন তুখোড় আইপিএস অফিসার হিসাবে পরিচিত।
তুখোড় মহিলা এই আইপিএস অফিসার ১৯৭৮ সালে বিহারের মোজাফফরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকে পড়াশুনা বিহারেই। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি চলে আসেন পাঞ্জাবে। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন এবং ইউনিভার্সিটির টপার ছিলেন। এরপর একজন আইপিএস অফিসার হওয়ার লক্ষ্যে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। সেখানেও টপ তালিকায় নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে যোগ দেন ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে।
ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি একের পর এক জটিল মামলায় তদন্ত করে কামাল দেখাতে শুরু করেন। আর তার এই কামাল দেখে ভয়ে কাঁপতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের সাফল্য দেশের সামনে তুলে ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন ২০০৪ ব্যাচের এই দামাল আইপিএস অফিসার। গগনদীপ গম্ভীর ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পুলিশের বিভিন্ন পদ সামলেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ভারতের পশ্চিমের নানান রাজ্যের সিনিয়র সুপারিনটেনড্যান্ট অফ পুলিশের পোস্ট সামলেছেন। এরপর গত দেড় বছর ধরে তিনি সিবিআইয়ের ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেরালের অফ পুলিশ (ডিআইজি) পদে রয়েছেন।
বেশ কয়েকটি হাইপ্রোফাইল কেসে তদন্তের দায়িত্ব সামলেছেন এই দুঁদে সিবিআই অফিসার। বর্তমানে তিনি অ্যান্টি করাপশন-৬ এর তদন্তেও রয়েছেন। তিনি তদন্ত করেছেন বিজয় মালিয়ার মতো আর্থিক তছরুপের মামলাও, এছাড়াও তদন্ত করেছেন অগাস্তা ওয়েস্টল্যান্ড স্ক্যাম। এছাড়াও বর্তমানে তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের খনি কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তও সামলাচ্ছেন। পাশাপাশি তদন্ত করছেন ১০০০ কোটি টাকার সৃজন কেলেঙ্কারির মামলা।