অমরনাথ দত্ত : দিন কয়েক ধরেই শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার কাজ চালাচ্ছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর এই মেলার মাঠ ঘিরে ফেলাকালীন শনিবার চরম অশান্তি লক্ষ্য করা যায় মাঠ প্রাঙ্গনে। মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে বোলপুরের ব্যবসায়ী সমিতি, স্থানীয় মানুষ ও পড়ুয়াদের। যে কারণে তারা এদিন হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ দেখান। আর এই প্রতিবাদ চলাকালীনই অশান্তির সূত্রপাত। ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের মা’রধর করতে দেখা যায় কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কর্মীদের।
শনিবার সকাল থেকে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠের সামনে এসে প্রথমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। তারা তাদের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর উপাচার্য এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তারপরেই হাতের কাছে পেয়ে কাজে নিযুক্ত থাকা এক ঠিকাদার কর্মীদের মা’রধর করা হয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের তরফ থেকে। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় ওই ঠিকাদার কর্মীকে। ঠিকাদার কর্মীকে তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই আপাতত বন্ধ হয়ে যায় মাঠ ঘেরার কাজ।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতী এলাকার বেশ কয়েকটি অংশকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলেছেন। এরপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পৌষ মেলার মাঠ থেকে ঘিরে ফেলার। তবে মাঠটি ঘিরে ফেলার পিছনে কি কারণ রয়েছে তা সম্পর্কে বিশ্বভারতী তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। আর এই মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্তের পরেই এলাকার মানুষজন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। সোশ্যাল সাইটেও এনিয়ে বিক্ষোভ দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, কবিগুরুর লক্ষ্যই ছিল খোলামেলা জায়গা। সেখানে কিভাবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। এছাড়াও তাদের দাবি এই মাঠে এখন এলাকার মানুষদের বিচরণ এবং খেলাধুলার একমাত্র জায়গা। আগামীদিনে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে এর প্রতিবাদে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।