অমরনাথ দত্ত : শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার থেকেই পরিস্থিতি সরগরম রয়েছে। শনিবার স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সাথে পাঁচিল দেওয়ার কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কর্মচারীর বাকবিতন্ডা থেকে হাতাহা’তি হওয়ার পর রবিবার সাতসকালে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন। এরপর রবিবার থেকেই তোড়জোড় শুরু হয় পাঁচিল তৈরীর জন্য।
একদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি মেলার মাঠের চারদিকে পাঁচিল তোলার জন্য সচেষ্ট হয়। রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় পাঁচিল দেওয়ার কাজ। এমনকি রাতেও যাতে কাজ ঠিকঠাক চলে তার জন্য মাঠের চারদিকে হ্যালোজিন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় বিশ্ব ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। অন্যদিকে সোমবার বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে বোলপুরের আপামর জনতাকে মেলার মাঠে হাজির হওয়ার জন্য আহ্বান জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। রবিবার রাত পর্যন্ত তারা মাইকিং করেন।
যার পরেই বিক্ষোভের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ সোমবার ধুন্ধুমার কান্ড শুরু হয় শান্তিনিকেতন মেলারমাঠ চত্বরে। এদিন বোলপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ এসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলার মাঠকে ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা মেলার মাঠ ঢোকার গ্রিলের গেট মাটি কাটার মেশিন দিয়ে ভেঙে দেয়। পাঁচিল দেওয়ার জন্য যে ভিত কাটা হয়েছিল তা পুনরায় মাটি ভরাট করে দেন এবং মেলার মাঠে একটি অস্থায়ী ছাউনি করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে সেটিকেও ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। এদিন ঠিকাদার সংস্থার নির্মাণ কর্মীরা পাঁচিল দেওয়ার কাজ করতে এলে আন্দোলনকারীদের চাপে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে এই পাঁচিল দেওয়ার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়, এই আন্দোলন বোলপুরের সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনের সাথে রাজনীতির কোনো রকম যোগাযোগ নেই।