হিমাদ্রি মণ্ডল : গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বীরভূমের মহঃবাজার থানা এলাকায় গণধর্ষণের শিকার হন এক আদিবাসী বিধবা মহিলা। গণধর্ষণের শিকার হওয়া ওই মহিলার মহঃবাজারের বোরাবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর শনিবার ঘটনায় অভিযুক্ত থাকার অভিযোগে ৫ জনের নামে মহঃবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে মহঃবাজার থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেন। শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া দুই অভিযুক্ত হলেন জলপা হাঁসদা এবং কাটিজ হাঁসদা। বাকি আরও ৩ অভিযুক্ত ঢোকা বাসকে, লখিয়া হাঁসদা এবং তাম্বর বাসকে পলাতক ছিলেন। এই পলাতক তিনজনকেও রবিবার মহঃবাজার থানার পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রথম দফায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে রবিবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে তাদের সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার পর পুলিশি জেরার সামনে ওই দুই অভিযুক্ত আরও একজনের নাম স্বীকার করেন যিনি সেদিন ওই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন। এরপর পুলিশ পলাতক ওই তিনজন ঢোকা বাসকে, লখিয়া হাঁসদা এবং তাম্বর বাসকের পাশাপাশি চন্দ্র বাসকেও গ্রেপ্তার করে। এই চারজনকে গ্রেপ্তার করার পর সোমবার তাদের সিউড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালত এদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭, যারা প্রত্তেকেই এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণ বীরভূমে
সিউড়ির জেলা আদালতের আইনজীবী চন্দ্রনাথ গোস্বামী জানান, “প্রথমে এই গণধর্ষণ কাণ্ডে ৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন করে নাম জড়াই চন্দ্র বাসকের। ঘটনার দিন চন্দ্র বাসকেও সমান ভাবে যুক্ত ছিলেন বলে জানায় অভিযুক্তরা। এই অভিযুক্তদের আজ আদালতে তোলার পর পুলিশের তরফ থেকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। যদিও আদালত সর্ব দিক বিবেচনা করে এদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।”
অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার অল ইন্ডিয়া ডিএসও এবং আরও কিছু বাম সমর্থিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিউড়ি এসপি অফিসের সামনে ঘটনায় অভিযুক্ত থাকাদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।