অমরনাথ দত্ত : শান্তিনিকেতনের মাঠে বিশ্বভারতীর পাঁচিল বিতর্কের অবসান ঘটতে না ঘটতেই শুক্রবার বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সাথে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা এবং বসন্ত উৎসব চিরাচরিত রীতি মেনে হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠকে ঘিরে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, “পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ আদালত নির্দেশ মেনে। আর কেনইবা পাঁচিল দেওয়া হবে না? এই মাটিতে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে যত রকমের দুষ্কর্ম হয়ে থাকে।”
পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, “পৌষ মেলাকে কেন্দ্র করে এই মাঠে চারজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কাটমানির র্যাকেট চালান। তারা পৌষ মেলার স্টলকে এতদিন ধরে মাত্র ২০০০ টাকায় কিনতেন এবং তা পরে বিশাল দামে ৩০ হাজার, ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। আর এই স্টল থেকে যে সকল তৃণমূল নেতারা লাভবান হন তারা স্টল ছাড়াও অনৈতিকভাবে আরও লোক ঢোকান। সেখান থেকে তারা কাটমানি খান। আর আজ এই কারণেই তাদের অসুবিধা।”
এছাড়াও তিনি পাঁচিল নিয়ে এটাও বলেন যে, “পাঁচিল দেওয়া হবে না কেন? আজ ফিরহাদ হাকিম সাহেব বলছেন গুরুদেব চেয়েছিলেন খোলামেলা জায়গায় শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে। কিন্তু গুরুদেবের আমলের পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশ অনেক ফারাক। তখন এই মাঠে এসকল দুষ্কর্ম চলতো না। আর আজ এই সরকার বলছে কেন পাঁচিল দেওয়া হবে? কেন তারা ডাক বাংলার মাঠে পাঁচিল দেননি? কেন তারা বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচিল দেননি? সেটাও তো শান্তিনিকেতনে হয়েছে। তাহলে সেখানেও পাঁচিল দিলেন কেন?”
আর বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পালের এই সকল মন্তব্যকর কটাক্ষ করে পাল্টা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “সবই ফলস কথা, সবই বানানো কথা। উনি জানেন না বিশ্বভারতীর আদর্শ সম্পর্কে। বিশ্বভারতী সম্পর্কে কিছু জানা নেই ওই জন্যই এত বড় বড় কথা বলেছেন। এসব ঘটনার জন্য যদি রাজি থাকেন তাহলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য দায়ী। বিশ্বভারতীর ১০০০ সিকিউরিটি আছে। আর কাটমানি উনি নিজে আগে খেয়েছেন তারপর তৃণমূল নেতাদের নাম করছেন। যারা টাকা জমা দিয়েছিলেন সেই টাকা উপাচার্য ফেরত দেয়নি। সেই টাকাটা উনি আগে খেয়ে বসে আছেন।”