নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমানে দেশে ৪৪টি শ্রম আইন রয়েছে। যে সকল আইনকে একত্রিত করে ৪টি লেবার কোডে রূপান্তরিত করার পথে হাঁটছে কেন্দ্র সরকার। এই ৪টি লেবার কোডের মধ্যে একটি লেবার কোড ইতিমধ্যেই সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছে। বাকি আরও তিনটি লেবার কোড বিল পাশ করানো হতে পারে আসন্ন বাদল অধিবেশনে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। আর এই সকল লেবার কোডকে একত্রিত করে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। শ্রমমন্ত্রক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী লঘু ব্যাপারী মানধন যোজনাকে এই সকল সামাজিক সুরক্ষা কোডের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র সরকার। এছাড়াও কেন্দ্রের সোশ্যাল সিকিউরিটি কোডের আওতায় আনা হতে পারে একাধিক পেনশন যোজনাকেও।
প্রধানমন্ত্রীর সমযোগী মানধন যোজনা কর্মসূচিতে যারা নাম লেখাতে পারবেন তারা হলেন অসংগঠিত শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এক্ষেত্রে তাদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছর। পাশাপাশি তাদের মাসিক রোজগার হতে হবে ১৫০০০ টাকার কম। এই কর্মসূচিতে ৬০ বছর বয়সের পর অসংগঠিত শ্রমিক ও কর্মচারীদের প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।
অন্যদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী লঘু ব্যাপারী মানধন যোজনা। এই যোজনাতে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নাম লেখাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের ৬০ বছর বয়সের পর ৩০০০ টাকা করে প্রতিমাসে পেনশন দেওয়া হবে। এই যোজনায় যারা নাম লেখাবেন তাদের অবশ্যই বার্ষিক টার্নওভার দেড় কোটি টাকার বেশি হলে হবে না। পাশাপাশি ইপিএফ, ইএসআই বা আয়করদাতারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না৷
এই দুটি প্রকল্পেই মাসিক আলাদা আলাদা করে অনুদান দিতে হয় অসংগঠিত শ্রমিকদের। অনুদানের পরিমাণ অসংগঠিত শ্রমিক, কর্মচারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বয়সের উপর নির্ভরশীল। প্রতি ক্ষেত্রেই যোজনায় অংশগ্রহণকারীরা যে টাকা অনুদান দেবেন ঠিক ততটাই সরকার অনুদান দিয়ে তাদের খাতে জমা করে। অর্থাৎ কারোর প্রতি মাসে অনুদানের পরিমাণ ৫৫ টাকা হলে সরকারের তরফ থেকে আরও ৫৫ টাকা দিয়ে ১১০ টাকা জমা করা হয়।