ফেলা দেওয়া পিপিই থেকে ইঁট বানিয়ে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারতীয় যুবক

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা মহামারীর মতোই করোনা আক্রান্তের ব্যবহৃত লক্ষ লক্ষ পিপিই কিট, গ্লাভস, মাস্কের বিষাক্ত আবর্জনা দূষিত করছে পৃথিবীকে। স্থলভাগের সঙ্গে সমুদ্রগর্ভেও জমছে এই বিষাক্ত আবর্জনা। ডেকে আনছে প্রাকৃতিক বিপদ। এই বিপদ থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে এক ভারতীয় যুবক।

Advertisements

Advertisements

গুজরাটের ভালসাদের ২৭ বছর যুবক ডঃ বিনেশ দেশাই করোনা বর্জ্য পিপিই কিট দিয়ে বানাচ্ছেন ইঁট। যা‌ করোনা বর্জ্য থেকে মুক্ত করতে পারে পৃথিবীকে। বর্জ্য পদার্থকে ফের ব্যবহার করে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি দেশে রিসাইকেল ম্যান হিসাবে খ্যাত।

Advertisements

বিনেশের বি-ফার্ম গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে গ্ৰামীন এলাকায় বর্জ্য পদার্থ দিয়ে নির্মাণ করেছে ১১,০০০ হাজারের মতো বাড়ি ও শৌচাগার। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত এই ইঁট কোনরকম ক্ষতিকারক নয়। এছাড়াও তাঁর তৈরি সংস্থা গ্ৰামীন গরিব মহিলারা ব্যাগ থেকে নানা ধরনের ঘরোয়া জিনিস তৈরি করছে বর্জ্য পদার্থ থেকে।

সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের ন্যাশানাল গ্ৰিন
ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট বলছে দেশে প্রতিদিন কোভিড বর্জ্য জমছে ১০১ মেট্রিক টন। এর সঙ্গে রয়েছে ৬০৯ টন মেট্রিক টন বর্জ্য। বিনেশ দেশাই ঠিক করেন তাঁর ল্যাবে এই বর্জ্য দিয়ে ইঁট বানাবেন। এর আগেও তিনি চুইংগাম, কাগজের মন্ড, গাছের নির্যাস দিয়ে ইঁট বানিয়েছেন। যা পি-ব্রিক নামে পরিচিত লাভ করে।

বিনেশ দেশাই জানিয়েছেন প্রথম যখন এই কাজে হাত দেন তখন একটি মিল তাকে ইঁট তৈরি করার জন্য জমি দেয়। ১১ মাস ধরে সকালে কলেজ যাওয়ার আগে ইঁট তৈরির কাজ করতেন। ৩০০০ হাজার ইঁট বানান। এরপর থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তি, এনজিও, কর্পোরেট হাউস থেকে অর্ডার পেতে শুরু করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর তৈরি বি-ফার্ম বর্জ্য দিয়ে ইঁট তৈরি করে নতুন পথের সন্ধান দেয়।

এই ইঁট জলে ভেজে না, দাহ্য হয় না ও পোঁকামাকড়ের দ্বারা নষ্ট হয় না। এই ইঁট তৈরি করতে সাত কেজি বায়োক্যেমিক্যাল বর্জ্য লাগে। একটি ইঁটের মাপ ১২x৮x৪ ইঞ্চি। এক একটি ইঁটের দাম ২ টাকা‌ ৮০ পয়সা। বিনেশ দেশাইয়ের এই আবিস্কার শুধু দেশ নয় সমগ্ৰ বিশ্বকে করোনা আবর্জনা থেকে মুক্ত করার আশা‌ জাগাচ্ছে।

Advertisements