উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা, শর্তসাপেক্ষে মিললো তারা মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে মার্চ মাস থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তারাপীঠ মন্দির। এরপর টানা ৯৩ দিন মন্দির বন্ধ থাকার পর রথ যাত্রার দিন ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় তারাপীঠ মন্দির। তবে মন্দির খুলে দেওয়া হলেও নিষেধাজ্ঞা ছিল গর্ভগৃহে প্রবেশের। তবে শেষমেশ মঙ্গলবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো তারাপীঠ মন্দির কমিটি।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে তারা মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া ভক্তদের মধ্যে। তবে তারা মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলেও মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। আর এই সকল শর্ত রাখা হয়েছে করোনা আবহের কথা মাথায় রেখেই।

মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গর্ভগৃহে আগত পুণ্যার্থীরা প্রবেশের অনুমতি মিললেও তারা মাকে দর্শন করার সাথে সাথেই গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে পূণ্যার্থীদের। পাশাপাশি লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় অঞ্জলি দিতে হবে তারা মাকে। দাঁড়িয়ে থেকে অঞ্জলি দেওয়ার কোন রকম সুযোগ দেওয়া হবে না। অন্যদিকে গর্ভগৃহে প্রবেশের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং গর্ভগৃহে প্রবেশের ক্ষেত্রে একজন করে প্রবেশ করানো হবে।

গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্দির কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আনলক পর্যায়ে যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে খুলে দেওয়া হচ্ছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখেই কোভিড নিয়মাবলী মেনে তারাপীঠ মন্দির কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ভক্তদের যে আর্তনাদ মায়ের কাছে যেতে পারছেন না, মাকে স্পর্শ করতে পারছেন না সেসব কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনাকালে তারাপীঠ মন্দির দু-দুবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তারাপীঠ মন্দির কমিটি। প্রথম দফায় দেশে লকডাউন চলাকালীন মন্দির বন্ধ থাকে এবং দ্বিতীয় দফায় বীরভূমের রামপুরহাট এলাকায় বিপুল পরিমাণে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগস্ট মাসের প্রথম দিন থেকেই মন্দির বন্ধ থাকে। এরপর আগস্ট মাসের শেষের দিকে পুনরায় মন্দির খুলে দেওয়া হয়। আর সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো।