হিমাদ্রি মণ্ডল : গতকাল সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুর বান্ধব সমিতির মাঠে বুথ ভিত্তিক কর্মীসভার বৈঠক চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডলকে বেজায় চটতে দেখা গিয়েছিল মাজিগ্রামের বুথ সভাপতি গণেশ রায়ের রাস্তা নিয়ে দাবি প্রসঙ্গে। ঘটনার সময় ওই বুথ সভাপতিকে অনুব্রত মন্ডলের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে দেখা যায়। যার পরেই সকলের সামনে অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দেন ওই ব্যক্তিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার। ঘটনার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিও পরে অন্যান্য নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে গত কালকের ঘটনার পর আজও অর্থাৎ শুক্রবার ঠিক একই জায়গায় আরও কয়েকটি অঞ্চলকে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বুথ ভিত্তিক কর্মী সভা ছিল। তবে এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে একেবারে অন্যভাবে লক্ষ্য করা যায়। গতকাল যেমন তিনি সভায় মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন আজ দেখা গেল ঠিক তার উল্টো ছবি। একেবারে ঠান্ডা মেজাজে পরিস্থিতি, কর্মীদের দাবি-দাওয়া সামাল দেন তিনি। আর এর পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “দাবি করাটা অন্যায় নয়, লিমিট আছে”।
তিনি বলেন, “দাবি তো কর্মীদের থাকবেই। তারা তৃণমূল করছে আর দাবি করবে না। এ তো অন্যায়ই নয়। দাবি করার একটা লিমিট আছে। ওই ভদ্রলোক জানে না ওর কাজটা দেওয়া আছে। একটা বুথ প্রেসিডেন্ট হতে গেলে তাকেও কিছু জানতে হয়।”
এর পাশাপাশি এদিন তাকে বিশ্বভারতীতে তিন সদস্যের ইডির তদন্তকারী দল আসা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, “বিশ্বভারতীর ব্যাপার নিয়ে আমি কোনো রকম ইন্টারেস্টেড নই। বিশ্বভারতীকে আমি কোনদিন পছন্দ করিনা, আগেও করি নাই, এখনো করি না। বিশ্বভারতীকে ভালো লাগে না বলে পছন্দ করি না।”
এছাড়াও এদিন তার মুখ থেকে গত কালকের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বড় বড় করে খবর সম্প্রচার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “কেউ তো একটা কথা বলে দিলো সেটা নিয়ে তো সমালোচনা হতে পারে না। আপনাদের মিডিয়ার অনেকদিন ধরে খাদ্য ছিল না, তার জন্য খাদ্য হয়েছে। অনেকদিন ধরেই নিরামিষ খেয়ে খেয়ে কোন খবর পাচ্ছেন না, ওই জন্য কাল একটা খবর পেয়ে গেছেন সেটাকে আপনারা প্রচার করছেন।”