অমরনাথ দত্ত : রাজ্যজুড়ে শুক্রবার চলছে বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি। আর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন এই কর্মসূচি পালিত হল বোলপুরে। বোলপুরে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখার সময় বিজেপিতে অনুব্রত মণ্ডলের জন্য পথ খোলা আছে বলে মন্তব্য করতে দেখা যায়। যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এর স্বপক্ষে নানান যুক্তি দেন।
শুক্রবার বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলেন, “এই যে বহুদিন ধরে আপনি আপনার গড় রক্ষা করে চলেছেন, মেরে-ধরে-চরম চরম করে, দড়াম দড়াম করে। এবার ২১ সালে কিন্তু আপনার গড়ে আমরা থাবা বসিয়ে দিয়েছি। এই গড়কে আপনি আর রক্ষা করতে পারবেন না অনুব্রত বাবু।”
এর পরেই তিনি বলেন, “বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের এগারোটা সিটের এগারোটা সিটে জিতে আমরা আপনাকে ১১ নম্বর বাস ধরিয়ে দেবো। আপনি আর গাড়ি চড়তে পারবেন না, বাইক চড়তে পারবেন না, আপনাকে ১২ নম্বর বাসে চড়ে হেঁটে হেঁটে হেঁটে যেতে হবে। আর সব মানুষের কাছে গিয়ে আপনার দুষ্কর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তাই এখনো সময় আছে শুধরে যান।”
বিজেপির কর্মসূচি মঞ্চ থেকে এইভাবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে আক্রমণ করার পর বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলের বিজেপিতে যোগদানের জন্য পথ খোলা আছে প্রসঙ্গে জানান, “আর আপনি যদি ভাবেন আমাদের দলে উঁকিঝুঁকি মারবো, মারুন, আমরা চেষ্টা করব আপনার সাথে নেগোসিয়েশন স্থান করে নেওয়ার।”
যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমাদের কাছে একটা পরিষ্কার ইঙ্গিত আছে আমাদের দলে যারা আসবে তাদের একটা স্বচ্ছ ইমেজ হতে হবে। সততার ইমেজ হতে হবে। যেটা অনেকাংশে অনুব্রত মণ্ডল সাহেবের নেই। কিন্তু উনি দক্ষ রাজনীতিবিদ, দক্ষ সংগঠক। সেই হিসাবে আমি কথাটা বলেছি। উনি যদি আসতে চান আর আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যদি দেখেন উনার গড় ধ্বংস হতে চলেছে, উনার পারিবারিক বিপর্যয় হয়েছে, সেই জন্য উনি তো রাজনীতি ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। আর তৃণমূলে যারা গন্ডগোল করেছে তাদের আমরা সোজা করে দেবো। তাই ভবিষ্যতে উনি যদি ভাবেন খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো কাজ করবেন তাহলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভেবে দেখতে পারেন।”
এছাড়াও বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে এদিন তিনি জানান, “একেবারে নোংরামো হয়েছে। যেভাবে একজন বিধায়কের উপস্থিতিতে শান্তিনিকেতনের উপর দিয়ে বুলডোজার চলে গেল এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেন তাহলে তিনি আজীবন কাল কলঙ্কিত নায়িকা হয়ে থাকবেন।”