নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিবসীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে বহুবার লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা পাল্টে দিয়েছেন ম্যাচের রঙ, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয় নীচের তালিকায় থাকা ব্যাটম্যানসদের। এমনকি দলের সেরা ব্যাটসম্যানকেও পিছনের সারিতে রাখা হয় অনেক সময়। যদি ওপেনাররা প্রথমেই ব্যর্থ হন তাহলে শেষের দিকে টিমকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই ব্যাটসম্যান অথবা রান তাড়া করে জয় আনার জন্যেও সেরা ব্যাটসম্যানরা নীচের তালিকায় নেমে আসেন। এমনই কয়েকজন ব্যাটসম্যান যারা লোয়ার অর্ডারে নেমে খেলার রঙ বদলে দিয়েছেন।
কপিল দেব : ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেবের হাত ধরেই প্রথমবার ১৯৮৩ সালে ওয়ানডে ম্যাচে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ভারত। সেই বিশ্বকাপেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়ে গেলে ৬ নম্বরে নেমে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। ১৩৮ বলে ১৮৩ রান করেন। তার মধ্যে ছিল ১৬ টা বাউন্ডারি ও ৬ টি বিশাল ছক্কা। যা ভারতের ক্রিকেট ভাগ্যকে বদলে দিয়েছিল। এটাই ছিল ওয়ানডে ম্যাচে কোন ভারতীয়র প্রথম সেঞ্চুরি।
মহেন্দ্র সিং ধোনি : মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে ২৮ বছর পর ভারত দ্বিতীয় বারের জন্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয় লাভ করে। লোয়ার অর্ডারে তাকে দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরা হয়। একাধিকবার তিনি শেষে নেমে ম্যাচের রঙ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনি ফিনিশার হিসাবে ক্রিকেট বিশ্বে খ্যাত। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬ নম্বরে নেমে ১২১ বলে ১৩৯ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল ১২টি চার ৫ টি ছক্কা।
অ্যান্ড্রু সাইমন্ড : অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তণ ব্যাটসম্যান লোয়ার অর্ডারে নেমে খেলতেন। কম বলে বেশি রান করে বহুবার তিনি দলকে জেতান। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ বলে ১৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
শাহিদ আফ্রিদি : ওয়ানডে ম্যাচে শাহিদ আফ্রিদির বিধ্বংসী ইনিংসে বহুবার জয়লাভ করেছে পাকিস্তান। ৪০-এর কম বলে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব আছে তাঁর নামে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬০ বলে ১২৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ছিল সবুজ ঘাসের ঠোঁট ছুঁয়ে যাওয়া ১৭ টি চার ও আকাশ ছোঁয়া ৪ টি রকেট ছক্কা।