সহজে চিনে নিন ২০০০ টাকার নোট আসল না নকল

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি দেশে বিপুল সংখ্যক নকল নোটের পরিমাণ বেড়েছে। মূলত পাকিস্তান থেকে ২০০০, ৫০০ এবং ২০০ টাকার নকল নোট পাঠানো হচ্ছে। আর এই নকল নোট উদ্ধারের নিরিখে দেশে সবার প্রথমে রয়েছে গুজরাত। গুজরাতে ১২ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, যেখানে উদ্ধার হয়েছে ১০ কোটি টাকার জাল নোট। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাঞ্জাব। পাঞ্জাবে ৫০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisements

তবে এই জাল নোট চেনার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যেকোনো নোট আসল না নকল তা চেনার জন্য ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দিয়ে রেখেছে। আর এই সকল বৈশিষ্ট্যগুলির মাধ্যমে সহজে নকল নোট চেনা সম্ভব হয়। ২০০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই সকল বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি রাখা হয়েছে।

Advertisements

নোটের সামনের দিকের বৈশিষ্ট্য

Advertisements

১) ২০০০ টাকার নোটের সামনের দিকে রয়েছে স্বচ্ছ রেজিস্টার। যে কারণে এই নোটিকে আলোর সামনে ধরলে ২০০০ লেখাটির স্পষ্ট বোঝা যায়।

২) ২০০০ টাকার নোট ল্যাটেন্ট ইমেজ ৪৫% কোণে ধরে দেখা হলে স্পষ্ট বোঝা যাবে ২০০০ অঙ্কটি।

৩) নোটের গায়ে দেবনাগরী ভাষায় ২০০০ লেখা থাকে।

৪) মহাত্মা গান্ধীর ছবি রয়েছে নোটের মাঝে।

৫) ছোট অক্ষরে লেখা থাকে ভারত এবং ইন্ডিয়া শব্দগুলি।

৬) RBI, BHARAT, 2000 এগুলি নোটের মধ্যে রয়েছে রং বদলানো সিকিউরিটি থ্রেডে। নোটটি নাড়াচাড়া করলেই সেই থ্রেডের রঙ সবুজ থেকে নীল হয়ে যাবে।

৭) নোটের গায়ে রয়েছে গ্যারেন্টি ক্লজ, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নরের স্বাক্ষর এবং ঋণপত্রের স্বীকৃতি।

৮) নোটের গায়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর জলছবি এবং ২০০০ এর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছবি।

৯) নোটের নম্বর সংখ্যা অর্থাৎ নম্বর প্যানেল ছোট থেকে বড় হবে।

১০) নোটের ডান দিকে থাকে অশোক স্তম্ভের ছবি।

পিছনের দিকের বৈশিষ্ট্য

১) ২০০০ টাকার নোটের পিছনের দিকের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল কোন সালে নোটটি ছাপা হয়েছে তা স্পষ্ট আকারে লেখা থাকে।

২) নোটের পিছনে রয়েছে স্বচ্ছ ভারতের ছবি এবং স্বচ্ছ ভারতের স্লোগান।

৩) ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় লেখা থাকে কত টাকার নোট।

৪) ২০০০ টাকার নোটের পিছনে রয়েছে মঙ্গলযানের ছবি।

Advertisements