নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনার প্রভাব বিস্তার করার সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই মার্চ মাস থেকে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। এমত অবস্থায় অনলাইনে পঠন-পাঠন চললেও বহু অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্ন কবে স্কুল কলেজ খোলার অনুমতি মিলবে। যদিও একটি বেসরকারি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন কলকাতার বেশিরভাগ অভিভাবকই চান এখনই যেন স্কুল খোলা না হয়। ঠিক একই রকম ঘোষণা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকেও। বুধবার তিনিও জানালেন, স্কুল খোলা নিয়ে এখনই কিছু ভাবা হচ্ছে না।
এদিন উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় দিনের প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন তিনি জানান, “আইসিডিএস (ICDS) সেন্টারগুলিতে যেমন কাজ চলছিল তেমনি চলবে। অক্টোবর এবং নভেম্বর দুমাস বাড়িয়ে দাও।” অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন আইসিডিএস সেন্টারগুলি থেকে যেভাবে শিশুদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছিল ঠিক সেইভাবে সরবরাহ করা হবে, কিন্তু কোন পড়ুয়াকে আইসিডিএস সেন্টারের আসতে হবে না।
এর সাথে সাথেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়ে দেন, “৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের আইসিডিএস সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে।” কিন্তু স্কুল? স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, “স্কুল খোলার বিষয়টি কালীপুজোর পরে ভাবা হবে। এই মুহূর্তে ভাবা হচ্ছে না। কারণ বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।”
এদিকে দেশজুড়ে চলা আনলক ৪ এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। এই পর্যায় চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কেবলমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকের সম্মতিক্রমে স্কুলে আসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুল খুললেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনই স্কুল খোলার মত ঝুঁকি নিতে চায়নি। যে কারণে এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোন স্কুল খোলা হয়নি।
অন্যদিকে আবার ৩০ সেপ্টেম্বর আনলক পর্যায়ের চতুর্থ ধাপ সমাপ্ত হওয়ার পর অক্টোবর মাস থেকে আনলক পর্যায়ের পঞ্চম ধাপ চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের মানুষ এখন এই আনলক পর্যায়ের পঞ্চম ধাপ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। আনলক ৫-এ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আর কোন কোন বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয় তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন আমজনতা।