নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক কর্মী সভা করে চলেছেন। আর এই সকল কর্মী সভাতেই বারংবার কোন না কোনো বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো রাস্তার দাবি করায় বুথ সভাপতিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, কখনো আবার নিজেদের ভোটে হারার কারণ হিসাবে দলেরই কোন প্রভাবশালী নেতাকে দায়ী করা। আর এই সকল বিতর্ক কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না। বৃহস্পতিবারও একটি কর্মীসভা ঘিরে ফের বিতর্কের সূত্রপাত। এবার বুথ জ্যাম করে ভোট করার মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার বীরভূমের হিয়াত নগরে ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কর্মীসভা। আর এই কর্মীসভায় পাইকর ২ নম্বর ব্লকের ২৫০ নম্বর বুথের এক তৃণমূল কর্মী মহঃ আরিবুল ইসলাম ভোটে লিড পাওয়া নিয়ে জানালেন, ‘দরকার হলে বুথ জ্যাম করে ভোট করবো’। যদিও এই তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্য শোনার পরেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সঙ্গে তাকে থামিয়ে দেন।
মহঃ আরিবুল ইসলাম এদিন তার এলাকার গতি প্রকৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বামফ্রন্টের হয়ে কাজ করতাম। ২০১৫ সালে দলে যোগ দেওয়ার পর ২০১৬ সালের বিধানসভায় কিছু ভোটের লিড দিয়েছিলাম। আর আগামী নির্বাচনে আমার এলাকায় আরও লিড বাড়বে।”
আর এই মন্তব্য শুনে অনুব্রত মণ্ডল ওই তৃণমূল কর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘সিওর, বাড়বে?’
আর এরই উত্তরে ওই তৃণমূল কর্মীরা জানান, “সিওর। বাড়বে। দরকার হলে বুথ জ্যাম করে ভোট করবো।”
আর এই কথা শুনেই অনুব্রত মণ্ডল মঞ্চ থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে থামিয়ে দেন এবং বলেন, ‘না না না’।
বিরোধীরা প্রতিটি নির্বাচনের পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম, ভয় দেখানো সহ অন্যান্য কৌশলে ভোট করানোর অভিযোগ তুলে আসছেন। আর কর্মীসভায় ওই তৃণমূল কর্মীর এমন মন্তব্যের পর বিরোধীদের বক্তব্য, ‘আমাদের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ওই তৃণমূল কর্মীর বক্তব্যেই।’