পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালিয়ে ১,৯৩,০০০ টাকা লুট, অভিযোগ বিজেপির দিকে

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

অমরনাথ দত্ত : পঞ্চায়েতে হানা দিয়ে অফিস ভাঙচুর, এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো এবং পঞ্চায়েতের লকার থেকে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা লুটের অভিযোগ উঠলো বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সম্পূর্ণটাই সাজানো ঘটনা, আসলে ঐ সকল বিজেপি কর্মীদের বিজেপি করতে দেওয়া হবে না বলে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।’

Advertisements

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েতে তরফ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল ১১ টার পর দলবল বেঁধে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের পঞ্চায়েতে হানা দেয়। এরপর তারা এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিতাই চন্দ্র মন্ডলকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখান, পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালান এবং পঞ্চায়েত লকার থেকে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে চলে যান।

Advertisements

তৃণমূল পরিচালিত ওই কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ, “তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখানে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের ঘাঁটি গড়তে পারছেন না। যে কারণে তারা এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন। এখানকার কোন মানুষ এই সকল বিজেপি কর্মীদের সাথে নেই। যে কারণে তারা এইভাবে হানা দিয়েছেন পঞ্চায়েতে।”

Advertisements

অন্যদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, “কয়েকদিন ধরেই একটি জায়গার মালিকানা হস্তান্তরের কাগজপত্র আনার জন্য আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েতে যান। কিন্তু বারবার আমাদের কর্মীদের ঘোরানো হচ্ছিল। যে কারণে আজ সামান্য বাকবিতন্ডা হয়েছে, তবে কোনো রকম লুটপাট, ভাঙচুর অথবা ভয় দেখানোর মতো কিছু হয়নি।”

এর পাশাপাশি বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, “আসলে এখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছেন যেন কেউ বিজেপি না করে। যে কারণে বিজেপি কর্মীদের ওপর মিথ্যা কেস দিয়ে তাদের বিজেপি করতে দেওয়া হবে না আর বলা হবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য।”

এদিনের এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে শুরু করা হয়েছে বিডিও অফিসের তরফ থেকেও।

Advertisements