আম্ফান দুর্গতদের পাশে ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’ ও ‘এসো বন্ধু’

Himadri Mondal

Updated on:

Advertisements

হিমাদ্রি মণ্ডল : রাজ্য যখন করোনায় জর্জরিত ঠিক তখনই মে মাসে বাংলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে লন্ডভন্ড হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলার অধিকাংশ অংশ। পরবর্তী সময়ে এই সকল ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও সরকারি সহযোগিতা নিয়ে দুর্নীতির নানান অভিযোগ ওঠে। আর পরে সেই সকল অভিযোগের অবসান ঘটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে।

Advertisements

কিন্তু প্রায় পাঁচ মাস কেটে যাওয়ার পর ওই সকল এলাকার মানুষেরা কেমন আছেন? তারা কি স্বাভাবিক জীবন-যাপনের অনুকূলে ফিরেছেন? তা হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই নয়। কারণ যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এই সকল এলাকা তাতে সেই ঘায়ে মলম লাগাতে সময় লাগবে অনেকটাই। তবে বুধবার এইসকল এলাকার মধ্যে বকখালির লক্ষ্মীপুর এবং অমরাবতী গ্রামের কয়েকশো মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিলো দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

Advertisements

এদিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু’ এবং ‘এসো বন্ধু’র তরফ থেকে কয়েকশো মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৫০০ জন মানুষের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় একটি হোটেলে। এর পাশাপাশি তারা আগামী দিনে এলাকায় নিজেদের সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের এক মাসে রেশনের ব্যবস্থা এবং নোনা জলের সমস্যা দূরীকরণের জন্য টিউবওয়েল বসানোর বিষয়ে আশ্বাস দেন।

Advertisements

এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ২০১৯ সালের সারেগামাপা গৌরব, স্নিগ্ধা, সুমন সহ অন্যান্যরা। সংগঠনের সম্পাদক প্রশান্ত হাজরা জানান, পুজোর আগে আমাদের তরফ থেকে এই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে যতটা সম্ভব দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হলো। অন্যদিকে পুজোর মুখে এই ভাবে সহযোগিতা পেয়ে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।

Advertisements