নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির মালব্য নগরে এক বৃদ্ধের ‘বাবাকা ধাবা (Babaka Dhaba)’ নামে একটি খাবারের দোকান রয়েছে। আর সেই দোকান থেকেই ওই বৃদ্ধ মটর পনির, রুটি, পুরি ইত্যাদি বিক্রি করে সংসার চালান। সস্তায় ভালো খাবার দিলেও লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে বিক্রি বাটা কমে যাওয়ায় এই বৃদ্ধের করুণ দশা সামনে আসে। ছোট্ট ওই দোকানের উপর নির্ভরশীল ওই বৃদ্ধের সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে। আর এরপর রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া পুনরায় মানবিকতার পরিচয় দিলো। তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার দৌলতেই রাতারাতি ভাগ্য পরিবর্তন হলো।
This video completely broke my heart. Dilli waalon please please go eat at बाबा का ढाबा in Malviya Nagar if you get a chance ?? #SupportLocal pic.twitter.com/5B6yEh3k2H
— Vasundhara Tankha (@VasundharaTankh) October 7, 2020
দৈন্যের ছাপ ভরা ওই বৃদ্ধির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন জনৈক এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তিই ভিডিওটি আপলোড করার সাথে সাথে এই দোকানের খাবারের গুণগত মান এবং ঠিকানা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানান। আর সেই ভিডিও আপলোড হতেই মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। ওই দোকানের অবস্থা এবং ওই বৃদ্ধার অবস্থা মন ছুঁয়ে যায় নেটিজেনদের। তারপর দেখতে দেখতেই মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভীড় জমতে শুরু করে দোকানের সামনে।
Power of Social Media! ??#BabaKaDhabha pic.twitter.com/YU81vr0dDH
— Ashutosh (@iashutosh23) October 8, 2020
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর দিন থেকেই ওই বিরুদ্ধে দোকানে চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অবিশ্বাস্য ঘটনা হলেও রীতিমতো তারপর থেকেই খরিদ্দারদের লাইন দিয়ে মটর পনির সঙ্গে রুটি বা অন্য কিছু খেতে দেখা যায় দোকানের সামনে। আর এই ঘটনার পিছনে কি রয়েছে তা হয়তো ওই বৃদ্ধ না জানলেও আগের মত খরিদ্দার পেয়ে এবং লাভের মুখ দেখতে পেয়ে রীতিমতো খুশি ওই বৃদ্ধ। আর পাশাপাশি এইভাবে বিক্রি-বাট্টা বাড়ায় ওই বৃদ্ধ বর্তমানে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বর্তমানে ওই বৃদ্ধির চোখে আর জল নেই, বরং হাসিমুখে খরিদ্দার সামলাতে ব্যস্ত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ‘বাবাকা ধাবা (Babaka Dhaba)’ নামে ওই দোকানের মালিকের নাম কান্ত প্রসাদ। তিনি ৮০ বছর বয়সেও নিজের সংসার চালাতে এইভাবে দোকান করে চলেছেন। আর তার এই দোকানে সহযোগিতায় রয়েছেন তার স্ত্রী। আর তারা এই ভাবে ৩০ বছর ধরে দিল্লির ওই মালব্য নগরে দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন।