চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’, পুজোর আগেই থাবা বসানোর সম্ভাবনা

Madhab Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২০, একের পর এক দুর্যোগ নিয়ে হাজির। চলতি বছর আমরা করোনার মত অতিমারির সম্মুখীন হয়েছি, যার রেশ এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। তবে শুধু করোনা নয়, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে আর্থিক দুরাবস্থা। তারপর আবার পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় মুম্বইয়ের উপর দিয়েও বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। আর এই সকল অতিমারি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লন্ডভন্ড বাংলা থেকে গোটা দেশ। এরই মাঝে হাওয়া অফিসের আরও একটি অশনি সংকেত ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ নিয়ে।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই সাগরে দুটি নিম্নচাপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার মধ্যে একটি চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার। আর তা যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে সেই ঘূর্ণিঝড় অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। যদিও হওয়াবিদরা এখনো স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে।

তবে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যতটুকু তথ্য মিলেছে তাতে অনুমান করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘গতি’ স্থলভাগের উপর আছড়ে পড়লে তা বয়ে যেতে পারে বাংলাদেশের উপর দিয়ে। তবে তার গতিপথ যদি পরিবর্তিত হয় তাহলে আবারও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেরও। অন্যদিকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেলেও তার প্রভাব এরাজ্যের উপর। যে কারণে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চলতি বছর পুজো মাটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩০ শে সেপ্টেম্বর উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আর এই নিম্নচাপই আগামীদিনে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে ভারতের দেওয়া নাম থেকে তার নামকরণ হবে ‘গতি’।

এমনিতেই বঙ্গোপসাগরে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রতিবছর একাধিক নিম্নচাপ তৈরি হয়। আর এই সকল নিম্নচাপগুলির মধ্যে কোনো কোনোটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়। আর এই সকল কারণে বাংলাদেশে এই সকল নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়কে ‘আশ্বিন-কার্তিকের তুফান’ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।