নিজস্ব প্রতিবেদন : সিউড়ি রামপুরহাট জাতীয় সড়কের উপর থাকা মহঃবাজারের ব্লকের ডেউচায় দ্বারকা ব্রিজের উপর বড়সড় ফাটল। বুধবার সকাল থেকে এই ফাটল চোখে পড়তেই প্রশাসনিকভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের একাংশ। তবে এরপরেও যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মত আশঙ্কা কাঁধে নিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
ব্রিজের উপর ফাটল চোখে পড়ার পর ব্রিজ পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসগুলি থেকে যাত্রীদের ব্রিজের অপর প্রান্তে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের হেঁটে ব্রিজ পার করতে হচ্ছে এবং যাত্রীশূন্য বাস ব্রিজের অপর প্রান্তে যাওয়ার পর পুনরায় যাত্রীদের বাসে তোলা হচ্ছে। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন, কতদিন এইভাবে চলবে?
স্থানীয়দের দাবি, গত এক বছর ধরে এই ব্রিজের ওপর বারংবার ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। এর আগেও যখন ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছিল তখন কর্তৃপক্ষ কেবল পাত এবং প্রলেপ দিয়ে তা মেরামতি করে। তারপর আবার শুরু হয় স্বাভাবিক যান চলাচল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই আবার ফাটল। আর এবারের ফাটল এতটাই বেশি যে উঁকি মারলেই ব্রিজের নিচ দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জীবন হাতে নিয়ে তারা এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। যাতায়াতের সময় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই ব্রিজ। ভোট দিয়ে যে সকল জনপ্রতিনিধিদের জয়ী করা হয়েছে তারা যেন এই ব্রিজ মেরামতির দ্রুত ব্যবস্থা করেন।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের উপর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়কের ওপর এমন বেহাল ব্রিজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি। যেগুলি সম্পর্কে একটি সমীক্ষাও বের হয়। যে সমীক্ষায় বলা হয়েছে দ্রুত এই সকল ব্রিজগুলিকে ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ তৈরি করার অথবা যতটা সম্ভব দ্রুত মেরামতি করার। এমনকি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়কেও এই সকল ব্রিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সাওয়াল তুলতে দেখা গিয়েছে লোকসভায়।