নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ার মতো চলতি বছর আইপিএল-এ এমন চারটি ম্যাচে যেখানে জিততে জিততে হারতে হয়েছে চারটি দলকে। দলের সদস্যরা তো দূরের কথা, হয়তো দর্শকরাও এমনটা হবে তা টের পাননি। আর এই চারটি ম্যাচের ফলাফল আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলো, এটা ক্রিকেট।
১) কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের খেলা : ২৪শে অক্টোবর দুবাইয়ে এই খেলায় পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১২৬ রান করে। আর এই রান তাড়া করতে নেমে হায়দ্রাবাদ প্রথমদিকে এমনটাই শুরু করেন যে, যে কেউ ভেবেছিলেন অনায়াসে হায়দ্রাবাদ এই ম্যাচ জিতে যাবে। এই ম্যাচে হায়দ্রাবাদের যেখানে ৫৬ রানে ১ উইকেট, সেখানে গোটা ইনিংস থেমে যায় মাত্র ১১৪ রানে। বিশেষ উল্লেখযোগ্য ১১০ রান থেকে ১১৪ রান করতে তাদের খোয়াতে হয় ৬ টি উইকেট।
২) কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব : ১০ অক্টোবর আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে কলকাতা প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করে। একসময় পাঞ্জাবের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থেমে যায় ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রানে।
৩) কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস : চলতি বছর আইপিএলের ২১ তম ম্যাচে কলকাতার সাথে চেন্নাইয়ের খেলা কলকাতা প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৬৭ রান করে। আর সেই রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই প্রথম ২ উইকেটের বিনিময়ে ৯৯ রান তুলে নেয়। কিন্তু তারপরেও চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৫৭ রানে, হাতে তখনও ৫টি উইকেট রয়ে যায়।
৪) কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব বনাম দিল্লী ক্যাপিটালস : এবছর আইপিএলের দ্বিতীয় খেলায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের সাথে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ ছিল একেবারে আলাদা। যে ম্যাচে দিল্লি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুড়ি ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাব একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। শেষ তিন বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান, কিন্তু সেই এক রান আর হয়নি। পাঞ্জাবের রান দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৮ উইকেটে বিনিময়ে ১৫৭। বরং এই এক রান সংগ্রহ করতে গিয়ে পাঞ্জাব দুটি উইকেট হারায়। আর ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে পাঞ্জাবকে হার মানতে হয়।