নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর দুর্গোৎসবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসন থেকে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছিল চরম আশঙ্কা। যদিও সেই আশঙ্কা কি সত্যিই বাস্তবায়িত হবে তা বোঝার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বাঙ্গালীদের। তবে এই আশঙ্কা থেকে আমজনতাকে রক্ষা করতে উঠে পড়ে লাগে প্রশাসন। প্রশাসনিকভাবে মাস্ক না পরে বাইরে বের হওয়াটা অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়, এমনকি পুলিশের তরফ থেকে এটাও ঘোষণা করা হয় এই নির্দেশিকা না মানলে যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
তবে পুলিশের তরফ থেকে কঠোর মনোভাব নেওয়া হলেও পাশাপাশি সমান ভাবে চলতে থাকে সচেতনতা এবং উদার মনোভাব। যে কারণে পুজোর সময় আমরা রাজ্যের প্রতিটি থানার পুলিশকে দেখেছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষকে সচেতন করতে, প্রয়োজনে হাতে মাস্ক তুলে দিতে। এর পাশাপাশি পূজা মণ্ডপ থেকে শুরু করে রাস্তায় রাস্তায় অনবরত মাস্ক পরা নিয়ে চলেছে প্রচার। তবে এই সকল প্রচারের মধ্যে কলকাতা পুলিশের একটি ভিডিও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মাস্ক পরা নিয়ে কলকাতা পুলিশের সেই সচেতনতা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে কর্তব্যরত এক কলকাতা পুলিশকর্মী কোন এক রাস্তার ধারে বা পুজো মন্ডপের সামনে জমায়েত করা মানুষকে মাস্ক পরতে বলার জন্য মাইকিং করছেন। তবে তার মাইকিংই আমজনতার মন জয় করেছে। কারণ তিনি যেভাবে যে ভঙ্গিমায় মাইকিং করেছেন তা শুনে এবং দেখে পাশে থাকা মানুষদের হেসে গড়াগড়ি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি।
ওই পুলিশ কর্মী একটি গাড়ির ওপর হ্যান্ড মাইক ধরে চিৎকার করে বলছেন, ‘ও লাল শাড়ি বৌদি, লাল শাড়ি বৌদি, লাল শাড়ি বৌদি। মাস্কটা পরো। ও বৌ দিদি মাস্কটা পরো। মাস্ক ছাড়া সেলফি হবে না।’
এর পাশাপাশি তিনি গাড়ি থেকে কোন ছোট ছেলেকে মাস্ক ছাড়া দেখলেই তার মাইক থেকে বেরিয়ে আসছে ঘোষণা, ‘এই বাবু, এই বাবু, মাস্কটা পর।’
এর পাশাপাশি তাকে মজার ছলে ওই ভিড়ের মাঝে মানুষের জামার রং উল্লেখ করে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘এই যে সাদা জামা মাস্কটা পরো। তোমাকে চিনবে, মাস্ক পরলেও চিনবে।’
এরকম একাধিক ঘোষণা করতে দেখা যায় ওই পুলিশকর্মীকে। কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মী মাইকিং করে সচেতনতা বার্তা দিলেও তার মাইকিংয়ের মধ্যে রয়েছে এমন টিপ্পনী যে ওই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যারা মাস্ক পরেননি তারাও লজ্জায় মাস্ক পরতে বাধ্য হন।