লাল্টু : বীরভূমের খয়রাশোল এলাকার আমাজোলা গ্রামের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার চার মাস পর গ্রেপ্তার হলেন খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরেক তৃণমূল নেতা কিশোর মন্ডল। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
গত জুলাই মাসের ৪ তারিখ সকালে আমাজোলা গ্রামের বছর ৪৫-এর তৃণমূল কর্মী শিশির বাউরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রানী পাথর গ্রামে। উদ্ধার হওয়া তৃণমূল কর্মীর দেহে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তার পরিবারের লোকজন খুনের অভিযোগ তোলেন। পরিবারের অভিযোগ রাতে খাওয়া-দাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিশির বাউরীকে। এরপরেই সকালবেলায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার পর খয়রাশোল থানায় মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী বুলু বাউরী বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযোগের খাতায় নাম থাকাদের গ্রেপ্তার করলেও গ্রেপ্তার করতে পারেননি মূল অভিযুক্ত কিশোর মন্ডলকে। অবশেষে চার মাস পর সোমবার রাতে খয়রাশোল থেকে খয়রাশোল থানার পুলিশ অভিযুক্ত কিশোর মন্ডলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া মূল অভিযুক্ত কিশোর মন্ডল পাঁচরা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। বর্তমানে তিনি ওই অঞ্চলের তৃণমূলের সাতজনের কমিটির অন্যতম সদস্য। যদিও অভিযুক্ত কিশোর মন্ডল পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত বলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
অন্যদিকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “পাঁচরা অঞ্চলে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি তৈরি হওয়ায় বিজেপি ওই ঘাঁটিকে চক্রান্ত করে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিজেপির চক্রান্ত করেই এই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা করিয়েছে।”