‘বিধানসভায় বীরভূমে বিজেপি ৫ খানা সিট পাবে’, বলছেন খোদ কংগ্রেস বিধায়ক

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

গৌড় চক্রবর্তী : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শাসক এবং বিরোধীদের লড়াইটা যে বেশ জোরদার হতে চলেছে তা আগাম টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিপক্ষের সভা, কর্মীসভা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে আবার বাংলাকে পাখির চোখ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা সফর শুরু করেছেন রাজ্যে। দিন দুয়েক আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দুদিনের জন্য বাংলা সফর করে যান। আর এই সফর থেকেই তিনি বিজেপি নেতা কর্মীদের ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা দেন।

Advertisements

অন্যদিকে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে বীরভূম সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকে। আর এই কেন্দ্রবিন্দুর মূলে রয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার বিতর্কিত নানান মন্তব্য বীরভূমকে সবসময় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করে রেখেছে। যে কারণে রাজনৈতিক মহলের সবসময় চোখ বীরভূমে কি হবে? বীরভূমে কি হচ্ছে?

Advertisements

আর এই বীরভূমের হাল-হকিকত নিয়ে দিন কয়েক আগেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, তার দায়িত্বে থাকা ১৪টি বিধানসভার ১৪টিই পাবে তৃণমূল। এই ১৪টির মধ্যে বীরভূমে রয়েছে ১১টি এবং পূর্ব বর্ধমানের রয়েছে ৩টি।

Advertisements

তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই দাবিকে নস্যাৎ করে বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মিল্টন রশিদ দাবি করেছেন, তার কাছে খবর আছে বীরভূমে পাঁচটি আসন পাবে বিজেপি। আর তৃণমূল পাবে মাত্র তিনটি আসন। তাও আবার কি বলে কি বলে।

আসলে রবিবার বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাই গ্রামে কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন তৃণমূলের দম্ভকে কটাক্ষ করতে গিয়েই এই কথা বলেন বিধায়ক মিল্টন রশিদ। তিনি সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “একসময় বামফ্রন্টও হাপর দোপর করত। বলতো আমরা ৩০০-২৩৪। তারাও চলে গিয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “তুমিও খুব হাপর দোপর করছিলে। কিন্তু তোমাকে কংগ্রেসের হাত ধরেই আসতে হয়েছিল। কংগ্রেস না থাকলে তোমার জন্ম হতো না। আর তুমিও বেশি অহংকার দেখাবেন না, কারন আমাদের কাছে খবর আছে এবার বীরভূমে ১১ খানা সিটের মধ্যে পাঁচ খানা সিট বিজেপি পাবে। পাঁচ খানা। টিএমসি তিনখানা সিট পেতে পারে, তাও কি বলে কি বলে।”

কিন্তু কেন টিএমসি সিট পাবে না? সে বিষয়ে মিল্টন রশিদ জানান, “শুধু একটাই কারণে টিএমসি সিট পাবে না, সেটা হল হাতে লাঠি আর মুখে সাদা গামছা। সাবধানে থাকবেন, ভালো থাকবেন, সুখে থাকবেন।”

Advertisements