অমরনাথ দত্ত : ২০১৬ সালে বোলপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে রাজু থান্ডার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর ওই যুবকের পরিবারের লোকজন বোলপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে থানা চত্বর। পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, পুলিশ হেফাজতে তাদের পরিবারের সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে। ঘটনার পর যুবক খুনের অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়। আর সেই মামলায় তৎকালীন বোলপুর থানার দায়িত্বে থাকা আইসি প্রবীর কুমার দত্তকে মঙ্গলবার বোলপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
যুবক খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হবার পর পুলিশ যে অন্তিম চার্জশিট জমা করে তাতে নাম জড়ায় প্রবীর কুমার দত্তের। তার বিরুদ্ধে ১৬৬, ১৬৭, ৩২৩, ৩২৫, ৩৪২, ৩৪৩, ৩০৪ এবং ২০১ তারাই অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর তিনি নরেন্দ্রপুর থানায় সারেন্ডার করলে মঙ্গলবার তাকে বোলপুর আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালতে ওই পুলিশকর্মীর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা গ্রাহ্য করা হয়নি আদালতে তরফ থেকে।
এদিন ওই পুলিশকর্মীকে আদালতে পেশ করা হলেও জানা যায় তিনি অসুস্থ। যে কারণে তিনি বোলপুর আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে থেকেই ভার্চুয়াল ভাবে আদালতে উপস্থিতি দেন। আর এরপর বিচারক নয়ন কুমার বন্দোপাধ্যায় তাকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি আইনজীবী জানান, “১৪ই আগস্ট ২০১৬ তারিখে পুলিশ হেফাজতে রাজু থান্ডারের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। এরপর যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়ে তাতে দেখা যায় রাজু থান্ডারের মাথায় আঘাত রয়েছে। এরপর এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। এরপরে আজ তাকে বোলপুর আদালতে তোলা হয় এবং বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।”