নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার পর অবশেষে বুধবার থেকে ট্রেনের চাকা গড়ালো। রাজ্যের সাথে রেল বোর্ডের বৈঠকে প্রথমেই সিদ্ধান্ত হয় সবথেকে বেশি ২৫% লোকাল ট্রেন নিয়ে পুনরায় পরিষেবা চালু করবে ভারতীয় রেল। এরপর দফায় দফায় বৈঠকে সেই সকল ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। রেলমন্ত্রী টুইট করে জানিয়ে দেন প্রথম দিনেই রাজ্যে ৬৯৬টি লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াবে।
Railways to operate 696 suburban services in West Bengal from tomorrow onwards, ensuring safe & convenient movement for the passengers of Kolkata
কলকাতার যাত্রীদের নিরাপদ ও সুবিধাজনক যাতায়াত সুনিশ্চিত করে রেলওয়ে আগামীকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ৬৯৬ টি শহরতলীর ট্রেন পরিষেবা চালু করবে।
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) November 10, 2020
জানানো হয় এই ৬৯৬টি লোকাল ট্রেনের মধ্যে শিয়ালদা ডিভিশন থেকে চলবে ৪১৩টি, হাওড়া ডিভিশন থেকে চলবে ২০২টি এবং ৮১টি চলবে খড়্গপুর ডিভিশন থেকে। আর এই রেল পরিষেবা পুনরায় চালু হবার আগে অন্তিমকালে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হাওড়া ডিভিশনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে হাওড়া ডিভিশন থেকে আরও ১০৯টি লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। আর এই প্রতিটি লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াতে শুরু করলো বুধবার থেকেই।
রাজ্যে বুধবার ভোররাত থেকে এই সকল লোকাল ট্রেনগুলি পুনরায় তাদের পরিষেবা শুরু করে দিলো। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে বর্তমানে প্রায় ৮৪ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল, সংখ্যাটা ৮০৫। আর হাওড়া ডিভিশনের ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পর সেখানে সংখ্যাটা দাঁড়ালো ৩১১।
পুনরায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও করোনাকালে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে রেল এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। মাস্ক না পরে কোন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারবেন না। কেউ যদি মাস্ক কানতে ভুলে যান তাহলে তিনি স্টেশন চত্বরে তা পেয়ে যাবেন এবং তাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে ট্রেনে চাপা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। এর জন্য ইতিমধ্যে রেলের তরফ থেকে পাঁচ থেকে ছয় ফুট অন্তর অন্তর গোল মার্কিং করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশনে প্রবেশের আগেই থার্মাল স্ক্রীনিং করা হবে। কারো শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাকে আলাদা ঘরে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজন পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হবে স্টেশনে স্টেশনে।
অন্যদিকে বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে লোকাল ট্রেনের চাকা গড়াতে শুরু করলেও এখনই হকার এবং স্টেশন চত্বরে থাকা দোকানের মালিক দের জন্য সুখবর নেই। আপাতত হকাররা ট্রেনে উঠতে পারবেন না এবং স্টেশনে থাকা দোকানগুলিকে এখনই দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।