নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে ২৩৪ দিন লোকাল ট্রেনের চাকা স্তব্ধ থাকার পর অবশেষে বুধবার থেকে রাজ্যে পুনরায় শুরু হলো লোকাল ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া, শিয়ালদা এবং খড়্গপুর ডিভিশনে মোট ৮০৫টি লোকাল ট্রেনের মধ্য দিয়ে এই পরিষেবাকে পুনরায় চালু করা হলো। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় রাজ্যে লোকাল ট্রেনের চাকা বুধবার থেকে গড়াতে শুরু করলেও বীরভূমের মত প্রান্তিক জেলায় এখনো পর্যন্ত কোন ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়নি। যার পরেই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে জেলাবাসীদের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই গত রবিবার সাঁইথিয়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পথপ্রদর্শক সাঁইথিয়া স্টেশন ম্যানেজারকে বর্ধমান রামপুরহাট, অন্ডাল সাঁইথিয়া, রামপুরহাট হাওড়া, মালদা, শিয়ালদা লাইনে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করতে ৮ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। আর সেই স্মারকলিপিতে সাঁইথিয়া স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার পুলক রায় জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন।
কিন্তু এই আশ্বাসে মোটেই খুশি থাকতে চান না জেলার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই তাদের অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। আর সেই সকল ক্ষোভ পরিস্ফুটিত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘদিন পর রাজ্যে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও কেন একটিও ট্রেন কলকাতা অথবা শহরতলীর সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য জেলায় দেওয়া হলো না?
জেলায় পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়া প্রসঙ্গে সিউড়ি এবং বিভিন্ন স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারদের প্রশ্ন করা হলে তারাও জানাতে পারেননি কবে থেকে জেলায় সাধারণ মানুষদের জন্য ট্রেনের চাকা গড়াবে। তারা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ট্রেনের চাকা গড়ানো নিয়ে কোনোরকম খবর না থাকলেও তারা প্রস্তুত। রেল দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত এলেই জেলাজুড়েও চলতে শুরু করবে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।
তবে জেলা এ অব্দি ট্রেন পরিষেবা চালু না হলেও আশার আলো এটাই যে সিউড়ির মত স্টেশনে রিজার্ভেশন টিকিট বুকিং পুনরায় শুরু করা হয়েছে ৯ নভেম্বর থেকে। পাশাপাশি জোরকদমে চলছে প্ল্যাটফর্মগুলিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ এবং কোভিড পরবর্তী প্রস্তুতির কাজ। আর এই সকল ছবি দেখে ক্ষোভের মধ্যেই আশার আলো যাচ্ছে জেলার বাসিন্দাদের।