অমরনাথ দত্ত : সদ্য বিহার বিধানসভা নির্বাচন সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। আর এই সকল নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গিয়েছে ঝাড়খন্ড ছাড়া বাকি প্রতিটি রাজ্যেই ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। যার পরেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বাংলার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির এই ভালো ফলাফল বড় প্রভাব ফেলবে। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এসবকে কোনরকম পাত্তা দিতে চান না। তিনি তার নিজস্ব ভঙ্গিমায় বুধবার জানিয়ে দিলেন, ‘বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ধোঁয়াশা রয়েছে। আর আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম) বিজেপির দালালি করেছে।”
বুধবার লাভপুরে অনুব্রত মণ্ডলের কর্মীসভা চলাকালীন সাংবাদিকরা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “বিহারে যে নির্বাচন হয়ে গেল তাতে একটা ধাঁধসা (ধোঁয়াশা) রয়েছে। ওরা (জোট) নাকি ১৯টা (১১৯) টা জিতেছিল। কিন্তু ১০টার রেজাল্ট এখনো দেয় নাই। এটা একটা অশান্তি।”
অন্যদিকে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ২০টি আসনের প্রার্থী দেওয়ার পর পাঁচটি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয়। আরে প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল আসাউদ্দিন ওয়াইসির দলকে আক্রমণ করে বলেন, “আপনারা মিম সম্বন্ধে জানেন, বড় একটা বিজেপির দালাল। সেই মিম ৩৬টা সিট নষ্ট করেছে মুসলিম ক্যান্ডিডেট দিয়ে। ও বলে আমি মুসলিমের বন্ধু, কিন্তু ও মুসলিমের বন্ধু নয়, ও সম্পূর্ণ বিজেপির দালাল। আজ বিধান সভাতে ৩৬ টা সিট সম্পূর্ণ নষ্ট করেছে মিম।”
অনুব্রত মণ্ডল এর পরেই এই মিম দলকে কেউ যেন বিশ্বাস না করে তার জন্য তিনি জানান, “তাই সবাইকে বলব কেউ যেন মিমকে বিশ্বাস না করে। যে বিজেপির দালাল হয়, পয়সার বিনিময়ে মিম যা করেছে তা অন্যায় করেছে। পশ্চিমবাংলায় মিম যদি ক্যান্ডিডেট দেয় তাহলে কিছু সুবিধা করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম এবং হিন্দু সকলে সচেতন।”
প্রসঙ্গত, বিহারের নির্বাচনে আসাউদ্দিন ওয়াইসির হায়দ্রাবাদি দল মিম পাঁচ পাঁচটি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের মাথায় যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই দলটি যে সকল জায়গায় জিতেছে তার মধ্যে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রই হল পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও উত্তর দিনাজপুর লাগোয়া। অন্যদিকে আবার আসাউদ্দিন ওয়াইসি বিহারের বিধানসভায় ভালো ফলাফলের পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ঘোষণা করে দিয়েছেন এখানেও তিনি প্রার্থী দিতে চলেছেন।