নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় একটা বড় অনুষ্ঠান হয়, কার্নিভাল। দিদিমণি সেই বিসর্জনের কার্নিভালটা করেন। তবে এবার করোনার কারণে সেই বিসর্জনের কার্নিভালটা হয়নি। তবে আপনি লিখে রাখুন ২০২১ সালে সেই বিসর্জনের কার্নিভালটা হবে। আর সেই বিসর্জনের কার্নিভাল শুরু হবে নবান্ন থেকে, পিসি আর ভাইপোকে বিসর্জন দিয়ে।’ ঠিক এভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে বুধবার আক্রমণ করলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র।
বীরভূমে লোকাল ট্রেন চালানো সহ সবার হাতে কাজ, এসএসসি এবং টেট সহ প্রত্যেক পদে স্বচ্ছ নিয়োগ ইত্যাদি ৬ দফা দাবি নিয়ে এদিন ময়ূরেশ্বর এবং রামপুরহাটে ডিওয়াইএফআই-এর তরফ থেকে একটি মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল শেষে হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। এই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র।
এদিন তিনি বলেন, “বামপন্থীদের নাকি পিঠে পোস্টার লাগিয়ে ঘুরতে হবে, বামপন্থীদের নাকি দূরবীণ দিয়ে খুঁজতে হবে। ২০১১ থেকে আজ ২০২০, বামপন্থীরা ছিল, আছে, থাকবে। কিন্তু ২০২১ এর পর তৃণমূল থাকবে না। তৃণমূল খুঁজতে আপনার দূরবীণ লাগবেনা, খালি চোখেই দেখতে পাবেন, তবে কলকাতার মিউজিয়ামে গিয়ে। আমরাই সেই বামপন্থী যুবরা তৃনমূলের বিসর্জনের বাজনা বাজাতে শুরু করেছিলাম।”
এর পরেই তিনি দূর্গা পূজার বিসর্জনের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে বলেন, “কলকাতায় দুর্গাপূজার সময় একটি বড় অনুষ্ঠান হয়, কার্নিভাল। দিদিমণি সেই কার্নিভালটা করেন, বিসর্জনের কার্নিভাল। এবার করোনার কারণে সেই বিসর্জনের কার্নিভালটা হয়নি। কিন্তু আপনি লিখে রাখুন ২০২১ সালে সেই বিসর্জনের কার্নিভাল হবে। আর সেই বিসর্জনের কার্নিভাল শুরু হবে নবান্ন থেকে, পিসি আর ভাইপোকে বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়ে। গোটা পশ্চিমবাংলা নতুন করে মাথা তুলবে।”