নিজস্ব প্রতিবেদন : তিন দশকের পুরাতন শিক্ষা নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য চলতি বছর জুলাই মাসে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন শিক্ষানীতি (NEP 2020) আনা হয়েছে। আর এই শিক্ষানীতিতে পুরাতন শিক্ষানীতির আমূল বদল ঘটেছে। যদিও এই বদল নিয়ে বিভিন্ন মহলে আপত্তি ওঠে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নতুন শিক্ষানীতি সমর্থন করেনি। তবে কেন্দ্রের দাবি নতুন শিক্ষানীতি পড়ুয়াদের শিক্ষার পরিবেশকে পরিবেশবান্ধব করে তুলবে। আর এই নতুন শিক্ষানীতিতে একাধিক সুবিধার কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর এবার এই নতুন শিক্ষানীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে পড়ুয়াদের উপর পড়ার অতিরিক্ত বোঝা কমাতে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করা হলো। নয়া শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে, ছোটদের ব্যাগের ওজন সর্বোচ্চ ২ কেজি এবং বড়দের ব্যাগের ওজন সর্বোচ্চ ৩.৫ কেজির বেশি হওয়া চলবে না। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ কেজি। পাশাপাশি ছোটদের উপর মাথার চাপ কমাতে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোন হোমওয়ার্ক দেওয়া চলবে না বলেও জানানো হয়েছে। তাহলে কিভাবে হবে পড়াশোনা?
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী ধরে বেঁধে পড়াশোনা নয় বরং হেসে খেলে ধাপে ধাপে শিক্ষালাভের বন্দোবস্ত করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর সেই বন্দোবস্ত কিভাবে কার্যকর করা হবে তার সম্পর্কে নির্দেশিকায় বেশ কিছু ধাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
১) দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের কোন হোমওয়ার্ক না থাকলেও পরের দিন তাদের ক্লাসে গিয়ে বলতে হবে কিভাবে ওই সময়টা তারা কাটিয়েছে।
২) তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য হোমওয়ার্ক থাকবে। তবে সেই হোমওয়ার্ক সপ্তাহে সর্বোচ্চ হবে দু’ঘণ্টা।
৩) পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের দৈনিক গড়ে এক ঘন্টার হোমওয়ার্ক বরাদ্দ করা হবে।
৪) নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করবে।
পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজনের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ওজন বেঁধে দেওয়া হলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের ব্যাগের ওজন যেন কখনোই পড়ুয়ার ওজনের ১০ শতাংশের বেশি না হয়। এই নতুন গাইডলাইন ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সমীক্ষায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নতুন এই গাইডলাইন গত সপ্তাহেই দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।