নিজস্ব প্রতিবেদন : দু’দিন আগেই লটারির টিকিট কিনে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছিল মালদহের ম্যাজিক ভ্যানের চালক বছর পঞ্চাশের রমজান আলীর। ঠিক একইভাবে আরও এক দীন-দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরলো লটারির টিকিটের দৌলতেই।
মুর্শিদাবাদের নমোচাচন্ড গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু মোমিনের বয়স ২৫ বছর। রাজমিস্ত্রির কাজ করে তার সংসার অতিবাহিত হয়। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী শাকিলা বিবি ও একমাত্র মেয়ে মুসকান খাতুন। রাজমিস্ত্রির কাজ করে যে রোজগার আসে তাতে কোনক্রমে তাদের সংসার চলে যায়। যে কারণে পিন্টু নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মাঝে মাঝেই লটারি টিকিট কিনতেন।
আর সেই অভ্যাসবশত রবিবার সে বাসুদেবপুরের একটি লটারি টিকিটের দোকান থেকে লটারির টিকিট কেনেন। তারপর খেলা হলে তিনি জানতে পারেন তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রাতারাতি।
তবে কোটি টাকার মালিক হওয়ার সাথে সাথে যেমন তার মধ্যে আনন্দ উদ্দীপনা এসেছে, ঠিক তেমনই তাকে ঘিরে ধরেছে আতঙ্ক। যে কারণে তিনি রাতেই সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং সারা রাত সেখানেই থাকেন।
পিন্টু মোমিন জানিয়েছেন, “টিকিট কেউ তার কাছ থেকে যদি ছিনিয়ে নেয় এই ভয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তাকে সমস্ত রকম ভাবে সহযোগিতা করে। এই টাকা দিয়ে তার প্রথম ইচ্ছে হলো নিজের পছন্দমত একটি বাড়ি তৈরি করার।” পিন্টুর এমন রাতারাতি কোটিপতি হওয়ায় খুশি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও।