নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার খোদ অনুব্রত গড়ে তৃণমূলে ভাঙনের জল্পনা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কাজল সাহা নামে এক তৃণমূল নেতা। দলীয় বিধায়ক তথা বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগ করলেন তিনি। এমনকি সূত্র মারফত এটাও জানা যাচ্ছে যে, সব ঠিকঠাক থাকলে তিনি সদলবলে ২০ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
তিনি ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের ঝিকড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহাজং গ্রামের বাসিন্দা। ছাত্রাবস্থায় ছাত্র পরিষদ এবং পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যুব কংগ্রেসের ঝিকড্ডা অঞ্চল সভাপতি হন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠন হওয়ার দিন থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গী কাজল সাহা। তবে সোমবার তিনি দলীয় বিধায়ক তথা ব্লক সভাপতি অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ পত্র জমা দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিওর কাছে।
কাজলবাবুর অভিযোগ, “শুধুমাত্র পদ ধরে রেখে কোন লাভ নেই। কারণ এখানে নামেই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ দেওয়া। কোন কাজ করতে দেওয়া হয় না। অভিজিৎবাবুই শেষ কথা। তাই পদত্যাগ করলাম। দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এর বিষয়ে আগেই আমি জানিয়েছি। কিন্তু দলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। কেন হয়নি তা আমার জানা নেই।”
তবে তিনি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এখনো দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন নি। কিন্তু মুখে না বললেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, আগামী ২০ ডিসেম্বর অমিত শাহ’র শান্তিনিকেতন সফরের দিন তিনি সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিধায়ক অভিজিৎ রায়কে ফোন করা হলে জানা যায় তিনি ব্যস্ত রয়েছেন।