বিজেপিতে যোগ দিয়েই ৯ বাণে মমতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিকল্পনা মতোই শনিবার শুভক্ষণে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে ৪৯ জন অনুগামীকে নিয়ে বিজেপি শিবিরে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাকে সভামঞ্চে বরণ করে নেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। মঞ্চে সারাক্ষণ তাকে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পাশেই বসে থাকতে। আর সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন অমিত শাহ।

Advertisements

Advertisements

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই শুভেন্দু তার প্রথম ভাষণে ক্ষুরধার আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল থেকে তৃণমূলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নাম না করেই একের পর এক বাণ ছুঁড়ে দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে, যেখানে ৯ বাঁধে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisements

১) দেশের আন বাণ শান অমিত শাহ আমার বড় ভাই দাদা।

২) অমিত শাহের সাথে আমার সম্পর্ক কতদিনের? ২০১৪ সালেই তার সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ। সাক্ষাৎ করিয়ে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং। তিনি আমাকে ভাইয়ের মত ভালোবাসতেন।

৩) আমি যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলাম তখন তারা আমার খোঁজ নেননি যাদের জন্য আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরেছি, যাদের জন্য অকৃতদার থেকেছি। অমিত শাহ দুবার আমার খোঁজ নিয়েছিলেন।

৪) দলে যোগ দিয়ে অঙ্গীকার করছি শুভেন্দু আপনাদের উপর খবরদারি করবে না, মাতব্বরি করবে না। দল যা করতে বলবে তাই করবো। দল পতাকা টাঙাতে বললে পতাকা টাঙাবো। দেওয়ার লিখতে পড়লে দেওয়ার লিখবো। আমি একটা একটা করে সিঁড়ি বেয়ে উঠে এসেছি।

৫) মুকুলদা আগেই বলেছিলেন ওই দলে আত্মসম্মান নেই। চলে আয় আত্মসম্মানের সাথে বাজবে। আজ মুকুলদা আর কথাও রাখা হলো।

৬) অনেকে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে। কেন দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এনডিএ-র শরিক ছিল না? তারপর কি হলো? সেটা বিশ্বাসঘাতকতা নয়! তখনো মমতা দ্বিতীয় হয়েছিল, এবারও দ্বিতীয় হবে মমতা। প্রথম হবে বিজেপিই।

৭) অনেকে বলছেন মায়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি! আমি বলবো মা কাকে বলে? যিনি জন্ম দেন। আমার জন্মদাত্রী মায়ের নাম গায়ত্রী অধিকারী। আর কাউকে মা বলবো কেন। আর স্বামী বিবেকানন্দের কথা অনুযায়ী দ্বিতীয় মা যদি কাউকে বলতে হয় তিনি হলেন ভারত মাতা।

৮) দিল্লি এবং কলকাতার সরকার এক না হলে বাংলা বাঁচবে না। আর এই বাংলাকে বাঁচাতে আমাদের পশ্চিমবঙ্গকে তুলে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির হাতে।

৯) কাল আমাকে আমার এক পুরাতন সহকর্মী একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। ভিডিওটি ছিল একটি কর্মসূচির ভিডিও। যেখানে আমি বলছিলাম, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও।’ আর এই ভিডিওর উত্তরে আমি তাকে জানালাম, ‘আমি যখন যে দলেই থাকি সেই দলের হয়ে মনেপ্রাণে কাজ করি।’ আর এবার মিছিলে গিয়ে বলবো, ‘তোলাবাজ ভাইপো হাঁটাও’।

Advertisements