নিজস্ব প্রতিবেদন : চিত্রনাট্য নির্মাতারা যখন সিনেমার নির্মাণ করেন তখন সিনেমার বিষয়বস্তুকে আকর্ষক করে তুলতে গিয়ে অনেক অতিরঞ্জিত বিষয়কেই তুলে ধরেন। অনেক সময় পরিচালকদের প্রযোজনায় গল্পের গরু গাছে উঠে যায় আবার অনেক সময় অতি মানবীয় কিছু ঘটনার সংযোজন করতে গিয়ে হিরোকে সুপারপাওয়ার দিয়ে দেন পরিচালকরা।
তবে একমাত্র ভৌতিক ও অলৌকিক কাহিনী নিয়ে রচিত সিনেমাগুলি ছাড়া যা অতিরঞ্জিত ও অতি মানবীয় তা সবসময়ই চোখে লাগে। আর অতিরঞ্জিত অতিমানবীয় বিষয়গুলিকে নিয়ে ট্রোলিং ও করা হয় যথেষ্ট পরিমাণে। সম্প্রতি বরুণ ধাওয়ান ও সারা আলি খানের অভিনীত কুলি নং ১ সিনেমার একটি দৃশ্যকে কেন্দ্র করে ট্রোলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
২৫ শে ডিসেম্বর ওটিটি প্লাটফর্ম ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে কুলি নং ১। এই সিনেমাটি ১৯৯৫ সালের কুলি নং ১ সিনেমার রিমেক। ১৯৯৫ এর কুলি নং ১-এ নায়ক নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন গোবিন্দা আর করিশ্মা কাপুর। এখন রিমেক ছবিটির নায়ক নায়িকার ভূমিকায় আছেন ডেভিড ধাওয়ানের পুত্র বরুণ ধাওয়ান আর সইফকন্যা সারা আলি খান।
এছাড়াও এই ছবিতে আছেন পরেশ রাওয়াল, জনি লিভার, রাজপাল যাদব ও জাভেদ জাফরি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৯৫ এর কুলি নং ১ ও বর্তমানের রিমেক কুলি নং ১ এই দুটি সিনেমারই পরিচালনা করেছেন ডেভিড ধাওয়ান।
গত শুক্রবার এই সিনেমাটি ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার পরে এই সিনেমার একটি দৃশ্য কমেডির আকারে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি খুদে বসে আছে রেললাইনের উপর। সেই সময়ে ট্রেন ঢুকছে লাইনে। ট্রেন লাইনে ঢুকছে দেখে কুলি বেশে থাকা বরুন বাচ্চাটিকে বাঁচাবার জন্য উপর থেকে ঝাঁপ দেয় আর চলন্ত ট্রেনের ছাদের উপর পরে বরুণ। এরপরের অবিশ্বাস্য ঘটনা দেখেই হেসে লুটিয়ে পড়েন নেটিজেনরা।
সিনেমার পরবর্তী দৃশ্যে দেখা যায় চলন্ত ট্রেনের ছাদের উপর ছুটতে থাকে বরুণ। ট্রেনের থেকেও দ্রুত গতিতে দৌঁড়াতে থাকেন তিনি। তারপর ট্রেনের ছাদ থেকে লাফিয়ে বাচ্চাটাকে তোলে আর সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেন বেরিয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখার পরই নেটিজেনরা আপত্তি তুলতে শুরু করেছেন।
https://twitter.com/DoseNotMatters/status/1342415439591211008?s=19
— $ (@shaziyxa) December 25, 2020
motion physics to film makers : pic.twitter.com/hlpLHJLl3f
— احمد (@aftab4hemd) December 25, 2020
নেটিজেনদের বক্তব্য, এই দৃশ্যে বিজ্ঞান ও যুক্তি কোনটাই মানা হয়নি। অনেকে কমেন্ট বক্সে পরিষ্কার লিখে দিয়েছেন, “এখানে তো বিজ্ঞানকেই অগ্রাহ্য করা হয়েছে।” আবার অনেকে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, “বরুণ ট্রেনের সামনে লাফ দিয়ে বাচ্চাটাকে বাঁচাতে যতক্ষণ সময় নিলেন তা বাস্তবে কখনই পাওয়া যাবে না।” নেটিজেনরা এটাও বলেছেন, ‘একটু তো লজ্জা পাও’।