অমরনাথ দত্ত : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই বঙ্গ রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। বিজেপি বাংলাকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল তাদের ১০ বছরের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিসংখ্যান সাধারণ মানুষদের সামনে তুলে ধরতে মরিয়া।
তবে এমত অবস্থায় শাসকদলের ঘর ভেঙে শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের দলে জায়গা করে দিতে পারায় বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মনোবল এক লাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে, পাশাপাশি তারা কিছুটা হলেও লড়াইয়ে অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে বিজেপি অ্যাডভান্টেজ পেলেও তৃণমূল নেতাকর্মীদের তরফ থেকে একাধিক জায়গায় সভা করে বিজেপি নেতা কর্মীদের নিশানা করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে দেখা যাচ্ছে। আর এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বোলপুরে পা রাখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি বোলপুরে নেমেই প্রশাসনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে। দুপুর দুটো নাগাদ তার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্ধারিত সূচি রয়েছে। আর এই প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির অগ্রগতির খোঁজখবর নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি ভোটের মুখে জেলার একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এই প্রশাসনিক বৈঠকের থেকেও জেলার বাসিন্দাদের চোখ রয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারের মমতার রোড শো-র দিকে।
গত ২০ ডিসেম্বর বোলপুরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বোলপুর ডাকবাংলো থেকে বোলপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত একটি রোড শো করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেই রোড শো-কে চ্যালেঞ্জ দিয়েই মঙ্গলবারের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রোড শো-টিও হবে বোলপুর ডাকবাংলো থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত।
অমিত শাহের রোড শো-তে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হয়েছিল। আর এই লোক সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় তৃণমূলকে। যদিও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে রোড শো করেছিল। লোকের ভিড় বাড়াতে মুর্শিদাবাদ, ঝাড়খন্ড, আসানসোল, রানীগঞ্জ ইত্যাদি জায়গা থেকে লোক আনা হয়েছিল।
পাশাপাশি তিনি মঙ্গলবারের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানান, বোলপুরে শুধু জেলার লোক নিয়ে আড়াই লক্ষ লোক জমায়েত করে দেখাবেন।